বাঁকুড়া: কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে পুলিশি হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হয়ে পড়লেন ‘অসুস্থ’৷ তিন দশকের বেশি সময় বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে টেন্ডারে বেনিয়মের অভিযোগে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আদালতের নির্দেশে চারদিনের পুলিশি হেফাজত বহাল হয়েছে রবিবার থেকে৷
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সকালে আচমকা বুকে ব্যাথা অনুভব করেন শ্যামাপ্রসাদ৷ বেড়ে যায় রক্তচাপও৷ তৎক্ষণাৎ তাঁকে বিষ্ণুপুর থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে৷ প্রাক্তন মন্ত্রী চেয়েছিলেন হাসপাতালে অ্যাডমিট হয়ে যেতে৷ কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সূত্র মারফৎ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা প্রাক্তন মন্ত্রীর ইসিজি ও পর্যবেক্ষণে করার পরামর্শ দিয়েছেন। আপাতত তাঁকে ফের বিষ্ণুপুর থানাতেই ফেরৎ আনা হয়েছে।
এদিন হাসপাতালে আসা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে উপস্থিত সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি কোন উত্তর দেননি। শুধু ঘাড় নেড়েই গাড়িতে চেপে বসেন। যদিও রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে গিয়ে বারেবারে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল শ্যামাপ্রসাদকে৷ আপনি কোন দলে আছেন, এই প্রশ্নের জবাবে কখনও বলেছেন, আপনারা আমাকে যেখানে রাখবেন, আমি সেই দলে৷’’ কখনও বা ক্ষিপ্রভাবে বলেছেন, ‘‘বলব না৷’’ কি কারণে পুলিশি গ্রেফতারের বিষয়ে প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রীর দাবি, ‘‘জানি না কি কারণে আমাকে গ্রেফতার করল৷’’ তাহলে রাতভর থানায় আটকে রাখা হল যে! এবার দৃশ্যতই মেজাজ হারান শ্যাম, ‘‘আমি রেপ করেছি নাকি!’’
প্রায় দশ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে (টেন্ডার কেলেঙ্কারি) রাজ্যের প্রাক্তন বস্ত্র মন্ত্রী তথা বিজেপির বিষ্ণপুরের দাপুটে নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ শনিবার গভীর রাতে বিষ্ণুপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই হেভিওয়েট এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এই দুর্নীতি কাণ্ডে আর কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷