বাঁকুড়া: ১০ কোটি টাকা প্রতারণা। সরকারের কোষাগার থেকে লুঠ হয়ে যাওয়া সেই টাকার হদিশ পেতে এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু করল তদন্তকারীরা৷ শ্যামাপ্রসাদের ব্যাক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
বিষ্ণুপুর পুরসভার টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে গত শনিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ইতিমধ্যে আদালতের নিদের্শে ধৃতকে চারদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ৷ পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতের কথায় উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি৷ তারই ভিত্তিতে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত৷ ইতিমধ্যে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে পুলিশের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তদন্তে নেমে শ্যামাপ্রসাদকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি৷ ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জমা দেওয়া রিপোর্টও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ এক তদন্তকারী কর্তার কথায়, ‘‘হাজারো অসঙ্গতি সামনে উঠে আসছে৷ তারই জেরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত৷’’
অন্য একটি সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতদেরও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ শীঘ্রই তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ৷ এমনকি ঠিকাদারী সংস্থাগুলিও এই পুলিশি জিজ্ঞাসাবারের বাইরে থাকবে না বলেই সূত্রের খবর৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে তাঁদের হেফাজতে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে পুরসভার টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক জনের নাম উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুর আধিকারিকেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।