বাঁকুড়া: হাতির আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকের নিয়ে ‘সমন্বয় বেঠক’ করল বনদপ্তর । রবিবার পাঞ্চেত ডিভিশনে এই বৈঠকে বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস, বনদপ্তরের ‘রাজ্য ওয়াইল্ড লাইফের চিফ ওয়ার্ডেন দেবল রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁকুড়া সহ দক্ষিণ বঙ্গের তিন জেলার একটা বড় অংশের মানুষের অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ প্রায় সারা বছর ধরে দলমার দামালদের সদর্প উপস্থিতি। ফলে চাষাবাদে ক্ষতি, সম্পত্তি হানির পাশাপাশি প্রাণ হানির মতো ঘটনা ঘটে। ফলে জনমানসে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একে সরকারি ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি, অন্যদিকে তা পর্যাপ্ত নয়, এই দুই বিষয়েও বনদপ্তরের কাজে অসন্তুষ্ট ক্ষতিগ্রস্তেরা। হাতির আক্রমণ রোধের পাশাপাশি দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে এই সমন্বয় বৈঠক বলে জানা গেছে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাদ মৌজায় ৬২ টি, উত্তর রেঞ্জে রসিকনগরপুরে ১ টি, রাধানগর রেঞ্জের জামডোবা ৩ টি, নতুনগ্রামে ১২ টি, বেলিয়াতোড় রেঞ্জের কাঁটাপেসিয়ায় ১ টি হাতি অবস্থান করছে। পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গের তিন জেলায় সেই সংখ্যাটা ১৬০ টি। বনদপ্তরের ‘রাজ্য ওয়াইল্ড লাইফের চিফ ওয়ার্ডেন দেবল রায় বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গে তিনটি জেলার ছ’টি ডিভিশনে হাতিগুলি সাধারণত থাকে। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ডিভিশনের মধ্যে সমন্বয় বৈঠক করা হয়। হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিপূরণ পান ও একই জায়গায় যাতে বেশী দিন হাতিগুলি না থাকে তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ একই সঙ্গে হাতিগুলি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ হবে। একই সঙ্গে হেক্টর প্রতি ১৫ হাজার টাকা হিসেবে এখনও পর্যন্ত বিগত আট মাসে তিন জেলায় অনুমানিক ৫ কোটির মতো ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাকি রয়েছে বলে তিনি জানান।