হাবড়া: মুশকিল আসানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ও সংবাদপত্রে প্রকাশ পায় হাবড়া স্টেশনের ‘MA ENGLISH CHAIWALI ‘ বছর ছাব্বিশের তরুণী টুকটুকি দাসের প্রতিবেদন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। কয়েক জায়গা থেকে অস্থায়ী কাজের জন্যও টুকটুকিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি না পাওয়া মেয়েটা নিজের পায়ে দাঁড়াতে ব্যবসায়ী মনোভাব থেকে নিজেকে সরাতে নারাজ।
কয়েকদিন আগে এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছেও ‘এম ইংলিশ চাওয়ালীর’ কথা পৌঁছয়। রবিবার বিকেলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবড়া পুরসভায় টুকটুকিকে ডেকে পাঠায় পুরসভার পুর প্রশাসকের কক্ষে। তখন হাজির ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও হাবড়া পুরসভার মূখ্য প্রশাসক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সহ অন্যান্য প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা।
টুকটুকির কি প্রয়োজন জানতে চান বিধায়ক। টুকটুকি জানায়, কোনও চাকরি বা কোন কিছু নয়৷ সে এখন চায় নিজের চায়ের স্টলটিকে ধীরে ধীরে বড় করা ও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়া। এরপর বিধায়ক ও পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টুকটুকির চায়ের স্টল আধুনিকীকরণ করে ওর মত করে সাজিয়ে দেওয়া হবে। পুরসভার নিজস্ব অর্থেই টুকটুকিকে এভাবেই ব্যবসায় সহযোগিতা করবে বলে জানান বিধায়ক। এলাকার বিধায়ক ও পুরসভা এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় একপ্রকার আপ্লুত টুকটুকি৷ তিনি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।