নদীর পাড়ে পায়ের ছাপ, ডোরাকাটার ভয়ে আতঙ্কে ঝড়খালি

নদীর পাড়ে পায়ের ছাপ, ডোরাকাটার ভয়ে আতঙ্কে ঝড়খালি

বারুইপুর: ফের বাঘাতঙ্ক! সাত সকালে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন স্থানীয় ধীবররা৷ আচমকাই তাঁদের চোখে পড়ে নদীর পাড়ে ভেজা মাটিতে বাঘের পায়ের ছাপ৷ তবে কি আশেপাশেই লুকিয়ে রয়েছে দক্ষিণরায়? নদী পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েনি তো? সে সব ভেবেই তখন ভয়ে কাঁটা মৎস্যজীবীরা৷ খবর জানাজানি হতেই ঝড়খালির ত্রিদিবনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ 

আরও পড়ুন- ভিক্ষুক মায়ের জমানো পয়সায় স্কুটার কিনল ছেলে, বালতি ভর্তি খুচরো গুণতে গলদঘর্ম কর্মীরা

এদিন মাতলা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েই বাঘের পায়ের ছাপ চোখে পড়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের। তড়িঘড়ি তাঁরা বনদফতরে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা৷ পায়ের ছাপগুলি খতিয়ে দেখে তাঁরা জানান, এখানে হানা দিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীরা মনে করছেন, বাঘটি মঙ্গলবার রাতে মাতলা নদী পেরিয়ে হেড়োভাঙা জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকেই লোকালয়ের দিকে চলে আসে। এদিন গোটা এলাকা ভালো করে পরীক্ষা করে অন্য একটি জায়গাতেও বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান বনকর্মীরা। যা দেখে বনকর্মীদের অনুমান, বাঘটি ফের নদী পেরিয়ে গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছে। 

যদিও বনকর্মীদের আশ্বাসেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না ত্রিদিবনগরের গ্রামবাসীরা। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। লোকালয়ের কাছে চলে এসেছে দক্ষিণরায়৷ দুই-একটি রয়্যাল বেঙ্গল তো আবার রীতিমতো লোকালয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে৷ অনেক কসরত করে তাদের খাচাবন্দী করে বনকর্মীরা৷ ফলে আতঙ্ক মুক্ত হতে পারছেন না তাঁরা৷ ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর৷ বলা হচ্ছে, গভীর জঙ্গলে খাবারের অভাবেই বারবার লোকালয়ের কাছে চলে আসছে দক্ষিণরায়৷ যার জেরে বারবার বিপদের মুখে পড়ছে সাধারণ জনজীবন।