দীঘা: রহস্যের নাম কাঁকড়া। গত এক বছরে দীঘায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের, সকলের কাঁকড়া খেয়ে। শেষ ২ মাসেই পরপর দুজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। ঠিক কী কারণে এই মৃত্যু হচ্ছে? আচমকা কাঁকড়া খেয়েই বা মৃত্যু হচ্ছে কেন। অনেকেই মনে করছেন অ্যালারজির কারণে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু শুধুই কি তাই? অ্যালারজি না অন্য কিছু? সেই তদন্তের জন্যই দীঘায় গেল স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এই ইস্যু নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও।
অ্যালারজি না খাবারের গুণগত মান খারাপ, কী কারণে বারবার এই ঘটনা ঘটছে তা জানতে দীঘার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। প্রতিটি জায়গায় খাবারের মান পরীক্ষা করে দেখা হয়। এমনকি ফ্রিজে যে সামগ্রী রাখা রয়েছে তাও পরীক্ষা করা হয়। হঠাৎ এই অভিযানে চমকে গিয়েছে দীঘার ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পর্যটকদের স্বার্থে এবং দীঘার সুনাম রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এইভাবে নির্দিষ্ট কোনও খাবার বা কারণে মৃত্যু হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। তাই যাতে পর্যটকদের কোনও সমস্যা না হয়, তাই দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই দিঘায় বেড়াতে এসে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার বাসিন্দা সৌম্যদীপ শিকদারের। আবার এই মাসেই, গত ২৪ ডিসেম্বর, একই ভাবে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা ঋত্বিকা ভক্তের। স্বাভাবিকভাবেই এই মৃত্যুর পর সকলের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে দীঘা নিয়ে।