flood
কলকাতা: বুধবার সাত সকালে সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সিকিম এবং দার্জিলিং-এর পার্বত্য ভূমি পেরিয়ে তিস্তা ঢুকে পড়েছে সমতলে৷ জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এই নদীর জল৷ তিস্তার জলস্রোতের কারণ সিকিমে ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক ভেঙে গিয়েছে, একাধিক বাড়িঘর, সেনা ছাউনি ভেসে গিয়েছে। বহু সাধারণ মানুষ সহ ২৩ জন সেনা আপাতত নিখোঁজ। এই আবহে বঙ্গে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
তিস্তার বিপুল পরিমাণ জলরাশি ধেয়ে আসছে উত্তরবঙ্গের দিকে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জলপাইগুড়ি জেলা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিকিম নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। লাগাতার বৃষ্টি এবং ডিভিসির বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার কারণ এমনিতেই বাংলার সাত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে সিকিমের এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও জটিল এবং ভয়ানক করে তুলেছে। শেষ দুদিনে ডিভিসি ২ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে, এদিকে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮ হাজার ২৫২.৪০ কিউসেক। ফলে ছোট-বড় নদীগুলিতে আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জলের চাপ সামলাতে গিয়ে অতিরিক্ত এই জল ছাড়তে হয় চুংথামের কাছে তিস্তার বাঁধ থেকে। সেই ছেড়ে দেওয়া জলের তোড়েই ভেসে যায় উত্তর সিকিম। সেনা সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলের স্রোত নামে তিস্তায়। এক ধাক্কায় জলস্রোত বেড়ে যাওয়ায় পরপর ভেসে গিয়েছে বাড়ি, গাড়ি।