যাদবপুরের ঘটনায় প্রথম আটক, অত্যাচারের অভিযোগ করছে পরিবার

যাদবপুরের ঘটনায় প্রথম আটক, অত্যাচারের অভিযোগ করছে পরিবার

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক রহস্য দানা বেঁধেছে। সে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে, এই প্রশ্ন উত্তর খুঁজছে সকলে। এরই মাঝে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। ওই প্রাক্তন ছাত্রের কথা এফআইআরে জানিয়েছিলেন যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা। আপাতত তাকে থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

যাদবপুরের ছাত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু সে কেন আত্মহত্যা করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা। অনেকের সন্দেহ তাকে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আটক হওয়া ছাত্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বেই নাকি স্বপ্নদীপকে হেনস্থা করা হত। তারাই তাকে মেরে ফেলেছে। গতকাল পুলিশ জানিয়েছিল, হস্টেল থেকে পড়ে যাওয়ার সময়ে এক ছাত্র স্বপ্নদীপকে হাত ধরে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। হাত ফস্কে নীচে পড়ে যায় সে। 

পুলিশি রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট কারণে ওই ছাত্র খুব ভয় পাচ্ছিল। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই স্বপ্নদীপের আচরণ ছিল ‘অস্বাভাবিক’। বার বার বলছিল ‘আই অ্যাম নট গে’ (আমি সমকামী নই)। বার বার স্বপ্নদীপ শৌচাগারেও যাচ্ছিল। এখানেই পুলিশের সন্দেহ তাকে হয়তো কেউ মানসিকভাবে অত্যাচার করতে পারে সমকামী বলে। বা আত্মহত্যার উস্কানিও কেউ দিতে পারে। প্রসঙ্গত, স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ ১০-১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার মধ্যে প্রথম কাউকে আটক করা হল এই ঘটনায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =