কলকাতা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং হোয়াইট ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকটি রাজ্য এটিকে মহামারী ঘোষণা করেও দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এই রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক জন। এবার সর্বপ্রথম বাংলায় তথা কলকাতায় প্রথম মৃত্যু হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে। প্রাণ হারালেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তী নামের এক গৃহবধূ।
বেশ কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন তিনি। জানা যায় পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি আক্রান্ত হন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল তার কিন্তু আদতে শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শম্পার। এই প্রথম কলকাতায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে মৃত্যু হল কারোর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন এবং বেশ কয়েকদিন ধরে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল তাকে। চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে আক্রান্ত হন। স্বামী ছাড়াও ১৩ বছরের মেয়ে রয়েছে শম্পার।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসকে মহামারী ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে মহামারী ঘোষণা করার জন্য। এরই মধ্যে ধরা পড়েছে হোয়াইট ফাঙ্গাস। বিহারে ৪ জন এই ছত্রাকে সংক্রমিত হয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এটি! জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শুধুমাত্র মুখের আশপাশের অঙ্গগুলিতেই হয়। কিন্তু হোয়াইট ফাঙ্গাস খুব দ্রুত অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফুসফুস, যকৃৎ, বৃক্ক, যৌনাঙ্গ— সমস্ত অঙ্গই অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাসে। মূলত নখের মাধ্যমে ছড়ায় এটি এবং গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। সেখানে আজ সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ৯০ জন মারা গিয়েছে।