‘কুপুত্র’ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ‘নন্দীগ্রামের মা’

‘কুপুত্র’ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ‘নন্দীগ্রামের মা’

fc1608d26f312a1701c56458b6003433

কলকাতা: নন্দীগ্রামের গণআন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই সময় অবশ্য তিনি ছিলেন তৃণমূলের নেতা৷ আর এখন দল বদলে হয়েছেন ‘গেরুয়া’৷ রাজনীতির এই সমীকরণেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সম্মুখ সমরে নামবেন মা-ছেলে৷ এই মা হলেন ‘নন্দীগ্রামের মা’ ৷ তাঁর নাম ফিরোজা বিবি৷ আর ছেলে হলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ 

আরও পড়ুন- চাকরি পেয়ে বদলে গিয়েছে বউ! স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে ধর্নায় যুবক

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ এই নন্দীগ্রামের মাটিতেই পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ফিরোজা বিবির ছেলে শেখ ইমদাদুল৷ তবে থেকেই তিনি পরিচিত শহিদের মা হিসাবে৷ এর পর ২০০৯ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভার উপনির্বাচনে ফিরোজা বিবিকে প্রার্থী করে তৃণমূল৷ ভোটে জয়ীও হন তিনি৷ এর পর ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি ফের জয়যুক্ত হন৷ এর নেপথ্য নায়ক ছিলেন অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারী৷ ফিরোজা বিবিকে জেতাতে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য৷ কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীই এবার তাঁর চরম প্রতিপক্ষ৷ অন্যদিকে সন্তানের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ফিরোজা বিবিও৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমার হাজার হাজার সন্তান৷ এর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়াই করতে হয়, তবে আমি প্রস্তুত৷’’ 

 শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ১৯ ডেসেম্বর অবশেষে অমিত শাহের মঞ্চ থেকে বিজেপি’র পতাকা হাতে তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর ‘মা’ কিন্তু এখনও সেই তৃণমূলেরই যোদ্ধা৷ দলত্যাগের পর ছেলের সঙ্গে কথাও হয়নি তাঁর৷ তবে তিনি এটা নিশ্চিত যে আসন্ন ভোট যুদ্ধে ছেলের বিরুদ্ধেই  লড়তে হবে তাঁকে৷ ফিরিজা বিবির বক্তব্য, ‘‘কুপুত্র থেকে নিষ্পুত্র ভাল৷ এক সন্তানকে হারিয়ে হাজার হাজার পুত্র পয়েছি৷ একটা কুপুত্রের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়াই করতে হয়, তাহলে আমি রাজি। আমার অবস্থান বদল হবে না।’’

আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র সমান মর্যাদা! নতুন বছরে বড় উপহার কেন্দ্রের!

এই বার তিনি নন্দীগ্রামের টিটিক পাবেন কিনা, তা নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যাথা নেই ফিরোজী বিবির৷ দল কী সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে কথা বলতে চান না নন্দীগ্রামের মা৷ দল চাইলে ময়দানে নামব৷ ভাই-বোন-ছেলে দেখার সময় এটা নয়৷ সেই সঙ্গে বিজেপি’র বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিন তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *