নদীয়া: বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের সমর্থন করার অভিযোগে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির৷ এবার ভোট প্রচার থেকে পাল্টা আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
নদীয়ার শান্তিপুরে তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে ফিরহাদ বললেন, ‘‘শুভেন্দু কি বলল, বিজেপি কি বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বিজেপি সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো ছাড়া কিছুই বোঝে না। আমরা যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিশ্বাস করি। বিজেপি দলটি সাম্প্রদায়িকতাতে বিশ্বাসী। ওরা সবসময় চেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর। যার কারণে রাজ্য থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে বিজেপি।’’
আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচন৷ ফিরহাদের দাবি, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে এখান থেকে বিজেপি জিতেও ভয়ে পালিয়ে গেছে। এবার ভোটে তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জিতবে আর বিজেপির ঝুলিতে দেখা যাবে জিরো।’’ অন্যদিকে এদিনই শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী ডক্টর ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে ভোট প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও৷
ব্রাত্যর কথায়, ‘‘রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থাশীল। ফলে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনের তৃণমুলকেই জয়যুক্ত করবেন সাধারণ মানুষ।’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্কুল কলেজ খোলার বিষয় নিয়ে আজ উত্তরবঙ্গ সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই মতই কাজ হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি করোনা আবহে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজগুলিতে পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু করতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
এছাড়াও সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশ হিন্দু নিগ্রহ প্রতিমা ভাঙচুর সহ পুজোমণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও ইসকন ভক্তদের হত্যা প্রসঙ্গে মোদিকে সরাসরি কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সেখানেও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় হিন্দুরা মন্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকেও মন্ত্রীত্বের আসনে বসাতে পারেনি দিল্লির ক্ষমতাসীন বিজেপি মনোনীত কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশে যেমন জামাত রয়েছে আমাদের এখানেও সেই রকম বিজেপি রয়েছে।’’ একই সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘‘এই রাজ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন-বলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আজও বজায় রয়েছে৷’’