হাওড়া: গ্রিন ক্রাকার্স ছাড়া অন্য কোনও আতশবাজি এবার পোড়ানো যাবে না। আসন্ন কালীপূজা, ছটপূজা ও জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারেটের তরফে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় পুলিশের তরফ থেকে একথা জানান ডিসি হেড কোয়ার্টার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। তিনি জানান, শুধুমাত্র গ্রিন ক্রাকার্স ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কালীপুজোর ক্ষেত্রে রাত ৮টা থেকে ১০টা এবং ছটপুজোর ক্ষেত্রে ভোর ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর সময়সীমা ধার্য্য করা হয়েছে। পুজোর যাবতীয় আয়োজন করতে হবে কোভিড বিধি মেনে। দুর্গাপূজার মতোই শহরের বড় পুজো মন্ডপগুলোর সামনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও পুজোর অনলাইন অনুমতি নেওয়া শুরু হয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে এবার দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
প্যান্ডেলে রাখতে হবে নো এন্ট্রি বোর্ড। ক্লাব সদস্যদের নামের লিস্ট টাঙানো থাকবে। ঢাকিরা নো এন্ট্রি জোনের বাইরে ঢাক বাজাবেন। মূর্তি তৈরিতে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করতে হবে। দূষিত হয় এমন কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। ৪০ ফুটের বেশি প্যান্ডেলের উচ্চতা হবে না। ২০ ফুটের বেশি প্রতিমা করা যাবে না। প্যান্ডেলের তিনদিক খোলা রাখতে হবে। অতি মহামারি পরিস্থিতিতে মন্ডপের সামনে ফ্লোর মার্কিং দিতে হবে। গেট হবে এল আকৃতির।
ভিড় যাতে না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুজোয় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জন হবে না। কালীপুজোয় হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ রোডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে। মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রিত করা হবে। বিসর্জনের সময় ঘাটে কুলি থাকবেন। বিসর্জন পথে পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগানো হবে। বিসর্জনের সময় ঘাটে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। প্যান্ডেলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক, স্যানেটাইজার ছাড়াও স্যানেটাইজার টানেল রাখতে হবে।
কালীপুজোর জন্য ভাসানের দিন ধার্য করা হয়েছে ৫, ৬ ও ৭ নভেম্বর। ছটপুজোর দিন ১০ ও ১১ নভেম্বর এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের দিন ১৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এবার নথিভুক্ত কালীপুজোর সংখ্যা ৪৬৯টি এবং জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে ৪৪টি। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়ার শরৎ সদনে সিটি পুলিশের উদ্যোগে ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার সি সুধাকর সহ পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন পুরনিগম, দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসি, ডব্লুউবিএসইডিসিএল এর আধিকারিকরা সহ বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।