তালা ভেঙে বাথরুম থেকে উদ্ধার দমকল কর্মীর স্ত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ, চাঞ্চল্য

তালা ভেঙে বাথরুম থেকে উদ্ধার দমকল কর্মীর স্ত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ, চাঞ্চল্য

হাওড়া: ঘরের তালা ভেঙে বাথরুম থেকে উদ্ধার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার দমকলকর্মীর- স্ত্রীর, দেহ উদ্ধারে হাবড়া থানার পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা, চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার জয়গাছি মহাজাতি সেবা সদন এলাকার। মাঝবয়সী অগ্নিদগ্ধ মৃত গৃহবধূর নাম শোভারানি চক্রবর্তী (৫৮)।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান শোভারানি দীর্ঘদিন ধরেই হাই প্রেসার এবং হাই সুগারের পাশাপাশি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। বারাসতে বাপের বাড়িতে থেকে তার চিকিৎসা চলছিল৷ দিন কয়েক আগে তিনি জয়গাছি নিজের বাড়িতে ফেরেন। হাবড়া ফায়ার ব্রিগেডে কর্মরত দমকলকর্মী স্বামী চন্দন চক্রবর্তী ও শোভা দেবীর দুজনার নিরিবিলির সংসার বেশ ভালই চলছিল। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও চন্দন চক্রবর্তী হাবড়া ফায়ার স্টেশনে কাজে যোগ দেন৷

রবিবার রাত আটটা নাগাদ শোভাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন চন্দনবাবুকে ফোন করে বলেন, বারবার ফোন করেও তারা শোভারানীর সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এই কথা শুনে চন্দনবাবু হাবড়া ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ প্রদ্যুৎ কুমার মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি দেখেন ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ৷ এমনকি ঘরের লাইটও বন্ধ। ফের চন্দনবাবু বিষয়টি অফিসার ইনচার্জকে জানালে তিনি বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে চন্দনবাবুর বাড়িতে আসেন৷

অনেক ডাকাডাকির পরও চন্দন বাবুর স্ত্রীর সাড়া না মিললে বাথরুমের কাছ থেকে কেরোসিনের গন্ধ আসতেই সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানায়৷ তড়িঘড়ি হাবড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ ওই বাড়িতে ছুটে যান  এবং দমকল কর্মীদের সহযোগিতায় ঘরের গেটের তালা কেটে ঘরের মধ্যে ঢুকে শেষমেষ বাথরুমের দরজাটিও ভেঙে অগ্নিদগ্ধ শোভা দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে হবাড়া হাসপাতালে পাঠানো  হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা দুটি কেরোসিনের ছোট ছোট জার উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় মৃতার স্বামী এবং দমকলকর্মীর আধিকারিকের প্রাথমিক ধারণা, রোগের যন্ত্রণা এবং মানসিক অবসাদ এই দুই থেকেই শোভাদেবী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে  ঠিক কি কারণে দমকল কর্মীর স্ত্রীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে হাবড়ার থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। মৃতদেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তবে গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *