ময়না: বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদকের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার তিলখোঁজা গ্রামে। গভীর রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, ময়না তিলখোঁজা গ্রামের সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক পদে রয়েছেন আলকাশ আলি। তিনি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপিকে নেতৃত্ব দেন। শনিবার রাত্রি সাড়ে ১০ টা নাগাদ ময়না থানার থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার এসে জানায় থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তখনই বিজেপি কর্মী আলকাশ আলি সন্দেহ হলে ময়না থানার ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন। ফোনের ওপার থেকে থানার অফিসার জানান, এরকম কোনও ঘটনা জানা নেই। ফলে তিনি আর বাড়ি থেকে বের হননি৷ অভিযোগ, এরপরই গভীর রাতে আড়াইটে নাগাদ ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের লোকেরা জানতে পেরে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন৷ জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রবিবার সকালে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হাজির হয় এলাকার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিণ্ডা সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। এই নিয়ে ময়না থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি কর্মী সর্মথকরা।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ছবি দিয়ে টুইট কংগ্রেসের! হঠাৎ কী এমন হল
ময়নার বিধায়ক অশোক দিণ্ডা বলেন, “ভুয়ো সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে বের করানোর চেষ্টা হয়েছিল৷ তা হলে হয়তো রাস্তাতেই ওকে মেরে ফেলত৷ আলকাশ না যেতেই গভীর রাতে বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে বলেছি অবিলম্বে অশান্তি থামান৷ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুন৷’’ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা মামুদ হোসেন অবশ্য বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কেউ যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এমন ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে৷’’ পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগেক ভিত্তিতে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ এদিকে উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিজেপি কর্মীদের বয়কট করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধেষ অভিযোগ, তুফানগঞ্জের নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের দলবাজি করা হচ্ছে৷ প্রতিবাদ জানানোয় এলাকার কয়েকটি বিজেপি পরিবারকে রীতিমতো বয়কট করে রাখা হয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না৷