কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভার দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরের মুহূর্ত থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন তিনি। এবার মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকরা। অভিযোগ, উস্কানিমূলক মন্তব্য করে রাজ্যের শান্তি ধ্বংস করেছেন তিনি। মিঠুনের মতোই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী সহ বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এমন দাবি নিয়ে মানিকতলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের একদল কর্মী এবং সমর্থক। তাদের স্পষ্ট দাবি, নির্বাচনের আবহে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে বাংলার শান্তি ভঙ্গ করেছেন তারা। এই প্রেক্ষিতে এই রাজনৈতিক হিংসা উস্কানি দেওয়ার জন্য তাদের গ্রেফতার করতে হবে। মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজের সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা সকলেই জানেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে এসেছেন। “জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে” থেকে শুরু করে “রগড়ে দেব”, “বুকে গুলি মারতে বলতাম” থেকে “আরও ৮ জন মরলে ভালো হত”, এই ধরনের একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়েছেন তারা। সেই প্রেক্ষিতেই এবার অভিযোগ দায়ের হল থানায়।
রাজনৈতিক হিংসা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যেখানে বিজেপি একটু বেশি আসন পেয়েছে সেখানেই গন্ডগোল হচ্ছে। কোচবিহারে হিংসা বেশী হচ্ছে। ওখানে উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও হিংসায় যারা জড়িত তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন যে বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি তাই জন্য আরও গন্ডগোল করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আবার বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। মানুষের রায় মানতে না পেরে এইসব করছেন তারা। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যখন অক্সিজেন থাকে না তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না, যখন স্যালাইন থাকে না, যখন দিল্লিতে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ হয় তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না সেখানে।