পৃথক রাজ্যের দাবি, সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের

পৃথক রাজ্যের দাবি, সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের

080117436eb63e6e265a8f149884c188

আলিপুরদুয়ার: বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেন যে, বাংলার মানুষের চাকরি এবং উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য হওয়া জরুরী। তাই জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করার আওয়াজ তুলেছেন তিনি। এবার এই দাবির প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য রাজ্যের আইন, শৃঙ্খলার অবনতির পক্ষে যথেষ্ট উসকানিমূলক, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। 

আলিপুরদুয়ার যুব তৃণমূলের তরফে জানান হয়েছে, যারা বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছেন তারা ক্রিমিনাল। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। শাসক শিবিরের বক্তব্য, এই ধরণের মন্তব্য রাজ্যের আইন, শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে, সাধারণ মানুষের অশান্তি বৃদ্ধি করবে। তাই যারা এই দাবি করছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি তোলা বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মোট ৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে জঙ্গলমহল রাজ্য তৈরি হবার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলছেন যে জঙ্গলমহলের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা কোন বড় ব্যাপার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বহিরাগত বলতে পারেন তাহলে এই দাবি যথেষ্ট সঙ্গত।

আরও পড়ুন- অভিষেকের অফিসে অভিজিৎ! এবার তুঙ্গে প্রণব-পুত্রের দল বদলের জল্পনা

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাও ইতিমধ্যেই ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে আলাদা রাজ্য হলে তবেই উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের। অর্থাৎ এক কথায় উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এই ব্যাপারে সায়ে দেয়নি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে একটি রাজ্য হিসেবেই দেখে এবং তার সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবে। এক্ষেত্রে কে কী বলছে তার দায় দলের নয়। যদিও এই প্রসঙ্গেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন সব জায়গায় অশান্তি চলছে, তাই কেউ কেউ হয়তো হতাশা থেকে এই ধরনের মন্তব্য করছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *