কলকাতা: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে শেষ দু’দফায় নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন৷ সমস্ত রোড শো, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ বাইক, সাইকেল ব়্যালিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের রোড শো, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷ আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে৷ আগে দেওয়া সমস্ত রোড শো, মিছিলের অনুমতিও বাতিল করা হচ্ছে৷ জনসভা করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও তা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন৷ সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে সভা করতে হবে৷ তার বেশি লোক রাখা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কিনা, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কমিশনের কাছে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য এদিনই কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ সার্কুলার জারি করা ছাড়া কমিশন কোনো পদক্ষেপ করছে না বলেও তোপ দেগেছে আদালত৷ বঙ্গ ভোট নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কলকাতা হাইকর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ৷ এদিন নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, করোনাকালে যাতে সমস্ত বিধি মেনে কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের কাজের চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন নিজের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিশনের হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকা সত্বেও সেই ক্ষমতার ব্যবহার করছে না তারা৷ এই সময় টিএন সেশনের কাজের দশ ভাগের এক ভাগ কাজ করে দেখাক কমিশন৷ একটা সার্কুলার দিয়ে জনগণের উপরে সবটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ থেকে অফিসার, আপনাদের হাতে সবটাই আছে৷ তাও কোনও কাজ করছেন না৷ কুইক রেসপন্স টিম কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷ প্রধান বিচারপতি জানান, সার্কুলার নয়, পদক্ষেপ চাইছি কমিশনের কাছে৷ কমিশনের কাজে আদলত সন্তুষ্ট নয় বলেও জানান তিনি৷ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আদালতে না থাকায় আমরা অর্ডার দিতে পারছি না৷ প্রয়োজনে আমরাই টিএন সেশনের কাজ করব৷ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর কমিশন নির্বাচনী প্রচারে বিধিনিষেধ জারি করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷