কলকাতা: আসছে পুজো৷ পুজোর পর শুরু হয়ে যাবে বাংলা ভোটের লড়াই৷ সরকারিভাবে ভোটের ঘোষণা না হলেও চলছে প্রস্তুতি৷ আর সেই প্রস্তুতি পর্বে পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া নিয়ে শাসক দলের অন্দরে শুরু হয়েছে তৎপরতা৷ জোরকদমে পুরোহিতদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর৷
এর আগে রাজ্যের তরফে ইমাম-মোয়াজ্জিন ভাতা চালু করা হয়েছিল৷ সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ মামলা পর্যন্ত হয়েছে৷ ইমাম-মোয়াজ্জিন ভাতার বিরোধিতা করে রাজনীতির ময়দান কাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির৷ এবার বিরোধীদের মুখের উপর জবাব ছুড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পুরোহিতদের ভাতা কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷
এমনিতেই গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে বারংবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোষামদের রাজনীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ বাংলা ভোটের আগে যাতে সেই সমস্ত অভিযোগের মোকাবিলা করা যায়, তা নিশ্চিত করতে এবার তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর৷ পুরোহিতদের সংগঠনের অসন্তোষ মেটাতেও নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ৷ ইমাম-মোয়াজ্জিন ভাতা চালুর সময় থেকে কেন পুরোহিতদের জন্যও একই ব্যবস্থা করা গেল না? যে গরু দুধ দেয় তার ‘লাথি’ একটু আধটু সহ্য করতেও হয় বলে? প্রশ্ন আগেই উঠেছিল৷
কিন্তু, সামনের বছর বিধানসভা ভোটে৷ সেখানে বহু বিষয় ‘ফ্যাক্টর’৷ শ্যাম ও কুল রাখতে গিয়ে এবার পুরোহিতদের ভাতা ভোটের আগে বড় ইস্যু হতে পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে খরচের দিক ভাবনা-চিন্তা শুরু হচ্ছে বলে খবর৷ তথ্য যাচাই করে তালিকা তৈরির বিষয়ে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাও সাহায্য করছে বলে খবরে প্রকাশ৷