ভোটের প্রচারে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ! ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জবাব ফিরহাদের

ভোটের প্রচারে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ! ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জবাব ফিরহাদের

3c8177665677b108b8f390052fe96057

কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে চলছে রাজনৈতিক আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের খেলা। রাজনৈতিক নেতারা চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন একে অপরকে৷ ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে বইছে গরম হাওয়া৷ তার মাঝেই আজ প্রকাশ্যে এসেছে ফিরহাদ হাকিমের বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও৷ যা নিয়ে এখন তোলপাড়া রাজ্য রাজনীতি৷ ইতিমধ্যেই বিজেপি এই ভিডিও হাতিয়ার করে একহাত নেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে ফিরহাদের দাবি, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা অসত্য। 

এদিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের মাঝেই বেফাঁস মন্তব্য করেন প্রাক্তন মেয়র৷ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লির বিজেপি বিধায়ক তেজিন্দর পাল সিংহ বাগ্গা মঙ্গলবার টুইটারে প্রায় ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করেন। আর পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়ো৷ ওঠে বিতর্কের ঝড়৷ ভিডিয়োতে দেখা যায়, কাউকে দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি৷ তাঁকে দেখা মাত্র অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতে থাকেন৷ এখানেই শেষ নয়৷ সভায় উপস্থিত বাচ্চা ও মহিলাদের সামনেই বিজেপি’র বিরুদ্ধে বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি৷ আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন৷ পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মারধর করার হুঙ্কারও দেন তিনি৷ এমনকি গালি দিতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। গোটা ঘটনায় ফিরহাদ দাবি করছেন, বিজেপির আইটি সেল ফেক খবর ছড়ায় সবাই জানে। এই ভিডিও এডিট করা হয়েছে, মুখে কথা বসান হয়েছে। তিনি কখনও এইভাবে জনসমক্ষে গালাগালি দেবেন এটা হতে পারে না, দাবি ফিরহাদের।

 

এই নিয়ে আবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যদি ক্রমাগত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এইভাবে প্ররোচনা দিতে থাকেন, তবে তার কর্মীরা কীভাবে পিছিয়ে থাকতে পারে? এ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের গরু এখন হারিয়ে গিয়েছে। চাষির গরু হারালে টালমাটাল হয়ে পড়ে৷ তেমনই মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর নেতা মন্ত্রীরা কী বলছেন, তার ঠিক নেই। ভোট যত এগোচ্ছে সবকিছু হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় হতাশ হয়ে এসব বলছেল৷ উনি ওখানকার সংখ্যালঘুদের উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন৷ বলছেন বিজেপিকে মারো, কাটো। কিন্তু কেউ ওনার সঙ্গে নেই।’’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *