মারাত্মক রূপে বাংলার দিকে পা বাড়াচ্ছে ফনি

কলকাতা: অতি মারাত্মক থেকে শক্তি হারিয়ে মারাত্মক রূপে রাজ্যে প্রবেশ ফনির। সকাল থেকেই ফনির দাপটে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় উত্তাল সমুদ্র। সঙ্গে চলছে বৃষ্টিও। শুক্রবার সকালের মধ্যেই দিঘার সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফনির প্রভাবে দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে থাকা পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পটি উড়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর, দাঁতন,

মারাত্মক রূপে বাংলার দিকে পা বাড়াচ্ছে ফনি

কলকাতা: অতি মারাত্মক থেকে শক্তি হারিয়ে মারাত্মক রূপে রাজ্যে প্রবেশ ফনির। সকাল থেকেই ফনির দাপটে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় উত্তাল সমুদ্র। সঙ্গে চলছে বৃষ্টিও। শুক্রবার সকালের মধ্যেই দিঘার সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফনির প্রভাবে দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে থাকা পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পটি উড়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর, দাঁতন, মোহনপুর, চন্দ্রকোণা, মেদিনীপুর শহর সহ একাধিক এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকেই চলছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। ফনির জেরে স্তব্ধ নামখানা, হাতানিয়া, দোয়ানিয়ায় সমস্ত ফেরি পরিষেবা।

গঙ্গাসাগর লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবা স্তব্দ। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত সাগরদ্বীপের বটখালি, সাগর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু অংশ। নামখানা সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বেশ কিছু জায়গায় হাওয়ার দাপটে কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাত থেকে দমকা হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। শুক্রবার রাতেই, ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিমি বেগে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ফনি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৪ তারিখ সকাল থেকেই দুর্বল হবে ঘূর্ণিঝড়। এরপর বাংলাদেশে অভিমুখ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দুই মেদিনীপুরের সভা বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেনির মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। নবান্নে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সব সময়ের জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বেশ কিছু দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জেলা হাসপাতালগুলিকে। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *