চুঁচুড়া: কীটনাশক খেয়ে বাপি টুডু (২৬) নামে এক কৃষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বলাগড়ের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলেনিপাড়া এলাকায়। পরিবারের দাবি, ধার দেনা করে পেঁয়াজ চাষের পর ফসল নষ্ট হয়ে যায়। সেই হতাশার কারণেই ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে।
মৃতের পরিবারের দাবি কতটা সঠিক পুলিস ও প্রশাসন তার তদন্ত শুরু করেছে। বলাগড়ের বিডিও শমীক সরকার বলেন, তেলেনিপাড়ায় একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, এবার ব্লকে পেঁয়াজ চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তির কিছু ঋণ ছিল। তবে তা পেঁয়াজ চাষের জন্যই কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন, পুলিস তা তদন্ত করছে।
বাপি টুডুর মা সরস্বতী টুডু বলেন, এবার শীত ভালো থাকায় পেঁয়াজের ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু পেঁয়াজ ওঠার আগে টানা বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে যায়। ফলে জমিতেই কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। রোদ ওঠার পর জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার পরেই তা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল বলে ২ টাকা কেজি দরেও বিক্রির লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। বস্তা করে রাখা পেঁয়াজের প্রায় অর্ধেক পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরেই ছেলে যাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল, তারা বাড়িতে এসে টাকার জন্য তাগাদা করছিল। তাই ছেলে মনমরা হয়েছিল।