আসছে ফনি, সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল, বন্ধ স্কুল

কলকাতা: অভিমুখ বদলে বাংলার দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নামছে কলকাতা পুরসভা৷ জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ৷ বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্তরম ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা৷ আজ, দুপুরে জরুরি বৈঠক শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ পুরসভার স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী

4391d3422ad95b78a7779e78595fea5d

আসছে ফনি, সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল, বন্ধ স্কুল

কলকাতা: অভিমুখ বদলে বাংলার দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নামছে কলকাতা পুরসভা৷ জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ৷ বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্তরম ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা৷ আজ, দুপুরে জরুরি বৈঠক শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ পুরসভার স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী দু’দিন যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার আর্জি শিক্ষা দপ্তরকে পাঠানো হয়েছে৷

পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিকাশি, জল সরবরাহ, জঞ্জাল অপসারণ, আলো ও পার্ক ও উদ্যান দপ্তরের কর্মীদের যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী মজুত করতে বলা হয়েছে পুরসভার সচিবের দপ্তরকে৷

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ইতিমধ্যেই পুর ভবনের কন্ট্রোল রুমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সাইক্লোনের সময়ে তিনি পুর ভবনের কন্ট্রোল রুমে হাজির থাকবেন। মেয়র জানান, শহরের প্রতিটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ঠিকঠাক আছে কি না, সেটাও এখনই দেখে নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজন মতো পাম্পের ব্যবস্থা রাখতে। যদি ভাড়া করতে হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কিন্তু শহরে যাতে জল না জমে, তা নিশ্চিত করতে হবে। গঙ্গার ধারের লকগেটগুলিতেও নজর রাখতে বলা হয়েছে নিকাশি দফতরকে৷ একই সঙ্গে শহরের সমস্ত হোটিং আজ বিকালের মধ্যে খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যাতে ঝড়ে হোটিং খুলে কোনও বিপত্তি না ঘটে৷

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুর ভবন ও বরো অফিসগুলিতে খাবার, পোশাক, ত্রিপল, পানীয় জলের বোতল-সহ ত্রাণসামগ্রী মজুত করতে বলা হয়েছে। লঙ্গরখানা খোলার ব্যবস্থাও থাকবে। ঝড়বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্কুল, অতিথি আবাস এবং কমিউনিটি হল প্রস্তুত রাখছে পুরসভা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *