ক্যানিং: রবিবার সকালে এক তরুণীর মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্যানিং থানার মাতলাব্রীজ এলাকায়। মাতলাব্রীজ সংলগ্ন একটি মাছের ভেড়ির পাশে ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ক্যানিং থানার পুলিশ। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিকেলের মধ্যেই ওই তরুণীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
মৃত তরুণীর নাম রিম্পা শেখ। তাঁর বাড়ি বাসন্তীর আমঝাড়া অঞ্চলের ঢুড়ি এলাকায়। তরুণীর বাড়ির লোক এসেই মৃতদেহ শনাক্ত করে তাঁর পরিচয় জানায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকারই কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শনিবার বিকেলে বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়ে ছিল বাড়ির ছোট মেয়ে রিম্পা। কিন্তু রাত পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় রাতভর বাড়ির লোক তার খোঁজ করতে থাকে। রবিবার তাঁরা খবর পেয়েছিলেন, ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে মাছের ভেড়ির পাশে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর পরেই তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়ের দেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে রিম্পার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ অনুসারে ফের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় মানুষের বহুদিনের অভিযোগ, মাতলা-১ ও ২ নং ব্লকের দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতলা নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মাছের ভেড়ি। আর এই ভেড়িগুলিতে কেন্দ্র করে অবাধে চলছে অসমাজিক কার্যকলাপ। দুষ্কৃতীদের আনাগোনাও লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যেই দু্ষ্কৃতি দলের পারস্পরিক বিবাদের জেরে গুলি চলে, বোমাবাজিও হয়। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এদিকে এখান থেকেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ক্যানিং এসডিও অফিস, ক্যানিং-১ নং ব্লকের বিডিও অফিস ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অফিস গুলি। এবার এই ভেড়ির কাছ থেকেই ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে স্থানীয়দের। সমস্ত অবৈধ মাছের ভেড়িগুলি বন্ধ করতে অবিলম্বে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক প্রশাসন, এই দাবিতেই এখন সোচ্চার এলাকার সাধারণ মানুষ।