কলকাতা: সপ্তাহখানেক আগে ঘটে যাওয়া বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকের হাতে আর্থিক সাহায্য তিনি নিজেই তুলে দিয়েছেন। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে এক নতুন খবর সামনে এল। ভুয়ো আহত হওয়ার রিপোর্ট দেখিয়ে অনেকে ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ভুয়ো রিপোর্টও জোগাড় করেছেন অনেকে। এইসব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে ১ লক্ষ করে। অল্প আহতদের ২৫ হাজার করে দেওয়া হবে। এরপর থেকেই একাধিক এমন ভুয়ো আহতদের হদিশ মিলছে। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ই-মেইল করে এই অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে। সেই প্রেক্ষিতেই নির্দিষ্ট জেলা প্রশাসনকে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সবথেকে বেশি অভিযোগ উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে। দ্রুত যাতে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার আর্জি জানান হয়েছে। কারণ এইভাবে যদি ভুয়ো আহতদের টাকা দেওয়া হয় তাহলে আসল ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাপ্য অর্থ পাবেন না।
অন্যদিকে রাজ্য সরকার এও জানিয়েছিল, আগামী ৩ মাস এইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া হবে। জানান হয়, যারা বেঁচে গিয়েছেন আপাতত তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তারপর ৩ মাস তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সঙ্গে সরকারের তরফে সাহায্য বাবদ চাল, ডাল ইত্যাদি জিনিস তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।