হাওড়া: আসন্ন কালীপুজো এবং দীপাবলি উপলক্ষে আতশবাজি এবং শব্দবাজি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শনিবার দুপুরে এক ফেসবুক লাইভের আয়োজন করে হাওড়া সিটি পুলিশ। ওই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আতশবাজি বা শব্দবাজি শুধু নয়, পাশাপাশি হাইওয়ে এবং বিভিন্ন রোডের পথ দুর্ঘটনা সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করা হয়।
এদিনের ফেসবুক লাইভে অংশ নেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি ট্রাফিক অর্ণব বিশ্বাস, আইসি মালিপাঁচঘড়া অমিত কুমার মিত্র, আইসি ধুলাগড় ট্রাফিক গার্ড সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, আইসি বালি ট্রাফিক গার্ড কল্যাণ চক্রবর্তী এবং হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি ট্রাফিক-১ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হয় যতটা সম্ভব বাজি পোড়ানো থেকে যেন সকলে বিরত থাকেন। কারণ বাজি পোড়ালে যে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় তাতে বাতাস দূষিত হয়। শুধু সাধারণ মানুষের ক্ষতি নয় ওই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে জীবজন্তু, পশুপাখিদেরও ক্ষতি হয়। তাই যতটা সম্ভব আতশবাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে সাধারণ মানুষকে পুলিশের তরফ থেকে এদিন আবেদন জানানো হয়। এছাড়াও শব্দবাজি যাতে না কেউ পোড়ায় তার আবেদন জানানো হয়। শব্দবাজি পোড়ালে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে, এমনকি বধিরতা আসতে পারে সেই সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করা হয়।
এছাড়াও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় যেন কেউ ফানুস ব্যবহার না করেন। ফানুস থেকে শহরে বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই আতশবাজি নিয়ে মহামান্য উচ্চ আদালত এবং রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি করেছে। সেই আইন যাতে সকলে মেনে চলেন তার অনুরোধ জানানো হয় সিটি পুলিশের তরফ থেকে। আতশবাজির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ যাতে সকলেই মেনে চলেন তার অনুরোধ জানানো হয়। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়। পুলিশ জানায়, কালীপুজো এবং কয়েকদিন ধরে হাওড়ায় ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি ফোটানো নিয়ে নজরদারি চালানো হবে। বিশেষ করে বহুতল আবাসনে নজরদারি চালানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে।
ডিসি ট্রাফিক বলেন, বাজি যারা কিনবেন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির দোকান থেকেই বাজি ক্রয় করতে হবে। পুলিশের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয় যতটা সম্ভব বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য। অন্যদিকে, হাওড়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সেটা বিভিন্ন রোডই হোক বা হাইরোডে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় প্রত্যেকে যাতে ট্রাফিক আইন মেনে চলেন, প্রত্যেকে যাতে হেলমেট ব্যবহার করেন এবং বেপরোয়া ড্রাইভিং না করেন। প্রত্যেকে যাতে নিয়ম মেনে ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালান সে বিষয়েও এদিন সকলকে সচেতন করা হয়।