নদিয়া: রাজ্য জুড়ে যখন ফের করোনা সংক্রমণ উর্ধমুখী, চিকিৎসকেরা বারংবার সতর্কতার কথা বলছেন, তখনও সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে৷ বরং বলা ভাল, দুর্গা পুজোর সময় তো বটেই, কালীপুজোতেও ভিড়। বারাসত থেকে শান্তিপুর সর্বত্রই সেই একই হাল৷ যেন বিধি ভাঙার খেলায় মজেছেন সকলে!
নদিয়ার শান্তিপুরের কাশ্যপ পাড়ার মোড় থেকে হাসপাতালের রাস্তা হয়ে মতিগঞ্জ মোড়ে ভাগীরথীর খালপাড়৷ প্রায় চার কিলোমিটারের এই পথ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমনই থিক থিকে ভিড়ের সাক্ষী থাকল৷ ধুই কালো মাথার ভিড়৷ থিক থিক করছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ, থুড়ি ভক্ত৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছে পুলিশ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরও৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাড়ে চারশ বছরের প্রথা অনুযায়ী চিরাচরিত নিয়ম মেনে এবারেও মাতা মহিষখাগীর নিরঞ্জন যাত্রা হল ভক্তদের কাঁধে করেই। মায়ের নিরঞ্জন যাত্রার সময় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করলেন সেখানে৷ এছাড়াও রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে মা মহিষখাগীকে একবার দর্শন করার জন্য!
অন্যদিকে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছরের প্রাচীন মাতা আগমেশ্বরীর নিরঞ্জন যাত্রার সময়ও কাতারে কাতারে মানুষকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল৷ মা আগমেশ্বরীর নিরঞ্জন যাত্রা শান্তিপুর শহরের প্রায় দুই কিলোমিটার অতিক্রম করে নিরঞ্জন ঘাটে পৌঁছায়৷ নিরঞ্জন ঘাটেও কাতারে কাতারে মানুষ মা আগমেশ্বরীকে একবার দর্শন করার জন্য ভিড় করে৷ স্বাভাবিকভাবেই জনগণরে সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ প্রশ্ন উঠছে, স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও৷ যদিও এবিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷