কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। চলছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ৷ কিন্তু, শুরুতেই দেখা গেল একাধিক বিপত্তি৷ অধিকাংশ বুথে ইভিএম বিকল হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ দ্রুত ইভিএম মেরামতির কাজে নেমেছেন ভোটকর্মীরা৷ ইভিএম বিকল হওয়ায় জেরে ভোট দিতে গিয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন ভোটাররা৷ সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে লম্বা লাইন দেখা যায়৷
এদিন ভোট দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন রায়গঞ্জের কংগ্রেসের প্রার্থী দীপা দাসমুন্সি৷ ইভিম বিকল হওয়ার জেরে প্রায় ঘণ্টাখিনিক পর শুরু হয় ভোটগ্রহণ৷ দার্জিলিংয়ের ব্লুম ফিল্ড হাইস্কুলে ভোট দিতে পারলেন না মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। মেখলিগঞ্জের একটি বুথে মক পোলিং চলাকালীন ইভিএম-এ সমস্যা ধরা পড়ে। ইসলামপুরে বুথে বিকল ভিভিপ্যাট৷ এখনও ভোট দিতে পারেননি কানহাইয়ালাল৷ মালবাজারের ৩টি বুথে বিরোধী এজেন্টকে বাধা৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির৷ ফলে, সাত সকালে ভোটগ্রণ কেন্দ্র গিয়ে ইভিএম বিকল হওয়ার জেরে সমস্যায় পড়েন বহু ভোটার৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ইভিএম বদলের কাজ৷ তবে, কাজকর্ম ফেলে সকাল সকাল ভোট দিতে এসে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের৷ আর তাকে কেন্দ্র করেই জমছে ক্ষোভ৷
West Bengal: Polling is yet to begin at booth number 29/134 at Islampur Hindi FP School of Uttar Dinajpur, in Raiganj Parliamentary constituency, as the EVM at the booth is not functioning. #LokSabhaElections2019
— ANI (@ANI) April 18, 2019
গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের, দার্জিলিং বিজেপির ও রায়গঞ্জ সিপিএমের দখলে আছে। জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে গতবারের জয়ী প্রার্থীরা এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, বিজেপি তাদের প্রার্থী বদল করেছে৷
এই তিন কেন্দ্রের মধ্যে এবার অনেকেরই নজর দার্জিলিং কেন্দ্রের দিকে। কারণ সাম্প্রতিককালে এই প্রথম বিমল গুরুংকে ছাড়া পাহাড়ে ভোট হচ্ছে। বিমলপন্থীদের সমর্থনে এই কেন্দ্রে লড়ছে বিজেপি। পাশাপাশি বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা নেতা অমর সিং রাই এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। দার্জিলিং দখলে তৃণমূল মরিয়া।
দার্জিলিং আসনে মোট ১৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ চলছে। প্রার্থীতালিকা দীর্ঘ হওয়ায় দার্জিলিংয়ে ১৮৯৯টি বুথে দু’টি করে ইভিএম রয়েছে৷ পাহাড়-সমতল মিলিয়ে এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬ লক্ষ ৫৬৪ জন। মোট ভোটকর্মী ৭০৬৫ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটকর্মী ৩০০ জন। দার্জিলিং কেন্দ্রে ৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে৷ ৮০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বছর দু’য়েক আগে পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই কেন্দ্রের উপর নির্বাচন কমিশনের আলাদা নজর রয়েছে। তবে বিমল গুরুং এলাকায় ঢুকতে না পারায় বিজেপি এই কেন্দ্র কতটা দখলে রাখতে পারে, সেটাই দেখার। ভৌগোলিক কারণেও দার্জিলিংয়ের উপর বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে রয়েছে মোট ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ১৮৬৮টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে৷ এর মধ্যে ৩৫৪টি স্পর্শকাতর বুথ। মোট ১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এই কেন্দ্রে মোট ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৩৪ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন৷