স্টেশনের ভবঘুরে, বৃহন্নলা থেকে গারদের বন্দি, রাখি বন্ধন উৎসবে মাতলেন সকলেই

স্টেশনের ভবঘুরে, বৃহন্নলা থেকে গারদের বন্দি, রাখি বন্ধন উৎসবে মাতলেন সকলেই

 

বারাসত: ভাই বোন বা আত্মীয়স্বজনেরা কোথায় রয়েছে এদের অনেকেরই তা জানা নেই। দুর্ভাগ্যবশত ঠাঁই হয়েছে হাবড়া স্টেশনে। হাত পেতে পেট চলে বলে আজও বাঁকা চোখে দেখেন অনেকে। অন্যদিকে সীমান্তের কারাগারে রয়েছেন ২৮৪ জন বন্দী। রবিবার রাখীর উৎসবে সকলকেই দেখা গেল মাততে৷

হাবড়ায় স্টেশনের ভবঘুরে থেকে বৃহন্নলাদের রাখী পরিয়ে স্নেহের বন্ধনে বাঁধার চেষ্টা করল হাবড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ প্রত্যেকের হাতে এক প্যাকেট করে লাড্ডু তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই সংগঠনের তরফে এদিন বৃহন্নলাদের হাবড়ার হিজলপুকুরের বাড়িতে গিয়েও রাখী পরানো হয়। এই প্রথম রাখী পরে বৃহন্নলাদের কেউ কেউ আনন্দে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেনি। একজন তো চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। বললেন, ‘‘আমাদের জন্যও কেউ কেউ ভাবেন, এটা জানতে পেরেও ভাল লাগছে৷’’

অন্যদিকে বসিরহাট সংশোধনাগারে এদিন রাখী বন্ধন উৎসবে মাতলেন আন্তর্জাতিক বন্দিরা৷ সৌজন্যে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দিদিরা। কাঁটাতারের বিভাজনে দুই দেশ যখন আলাদা, তখন অবৈধভাবে এদেশে ঢোকার অপরাধে সংশোধনাগারে ঠাঁয় হয়েছে ৮২জন বাংলাদেশি এবং ২০২জন ভারতীয়৷ মোট বন্দি ২৮৪ জন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে জেলার অমিত চক্রবর্তী, ওসি গৌতম বিশ্বাস প্রমুখেরা৷

উদ্যোক্তারা বলছেন, আজকের দিনটা স্মরণীয় প্রতিটি ভাই ও বোনের কাছে৷ রাখী পূর্ণিমার দিন বাড়িতে থাকলে হয়তো বোনের কাছ দিয়ে ভাই রাখি আবার দাদা বোনের হাত থেকে রাখী পরতো৷ তার থেকে যাতে বঞ্চিত যাতে না হয় তাই এই উদ্যোগ৷ সৌহাদ্য ভাতৃত্ব অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল এদিনের অনুষ্ঠান৷  রীতিমতো রাখী বন্ধনের দৌলতে কেউ খুঁজে পেলেন বোনকে কেউ বা পেলেন দাদাকে৷ করানো হয় মিষ্টিমুখও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *