বহরমপুর: সপরিবারে শিক্ষক খুনের এক সপ্তাহ পর খুনের কিনারা করল পুলিশ৷ সাত দিন অবশেষে পুলিশের জালে গ্রেপ্তার রাজমিস্ত্রী৷ কীভাবে শিক্ষক পরিবারকে খুন করা হয়েছে, তা জানাল পুলিশ৷
জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, সাগরদিঘির সাহাপুরেরই বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রী ধৃত উৎপল বেহেরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনটি খুন করেন৷ খুনের পর পোশাক বদল করে গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্ত৷ খুনের পর অভিযুক্ত সাগরদীঘির বাড়িতে চলে যান৷ উৎপল খুনের আগে এলাকায় রেইকি করে৷ আজিমগঞ্জ থেকে খুনের অস্ত্র কিনে আনা হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ৷
ঘটনার দিন বন্ধু প্রকাশকে ফোন করে উৎপল৷ উৎপলের বাড়িতে ডাকেন বন্ধুপ্রকাশ৷ দরজা খুলতেই বন্ধুপ্রকাশকে অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে অভিযুক্ত৷ পাশের ঘরে গিয়ে স্ত্রী বিউটি পাল ও পরে ছ’বছরের সন্তানকে খুন করা হয়৷ বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে শেষ কথা বলে উত্পল৷ আর সেই ফোনের সূত্র ধরেই খুনের কিনারা পুলিশের৷
পুলিশ জানিয়ে, উৎপলের সঙ্গে মৃত শিক্ষকের আর্থিক লেনদেন ছিল৷ উৎসলের থেকে টাকা নিয়ে বিমা করান শিক্ষক৷ অভিযোগ, বন্ধুপ্রকাশে কাছে বিমার রশিদ না পেয়ে শুরু হয় গন্ডগোল৷ মৃত শিক্ষককের থেকে ৪৮ হাজার টাকা পাওয়া ছিল অভিযুক্তের৷ ওই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় উৎপলকে অকথ্য গালিগালাজ করেন শিক্ষক৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, আর্থিক লেনদেনের কারণে সপরিবারে শিক্ষককে খুন করা হয়েছে৷ উৎপল একায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুন করে চম্পট দিয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ধৃত পুলিশের সামনে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে৷ ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগ উৎপলের মায়ের৷