ক্রিকেট খেলতে বাধা, মায়ের সঙ্গে বচসার পরেই আত্মঘাতী কসবার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

ক্রিকেট খেলতে বাধা, মায়ের সঙ্গে বচসার পরেই আত্মঘাতী কসবার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

কলকাতা: পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও বরাবরই পারদর্শী ছিলেন। ক্রিকেট ছিল ধ্যান-জ্ঞান। আর সেই ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করেই মায়ের সঙ্গে বচসা হওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন কসবা এলাকার এক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। মৃত ওই যুবকের নাম সোহম বসু বলে জানা যাচ্ছে। সোহম একটি বেসরকারি কলেজে ইলেকট্রনিক্স কমার্শিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সোহম বরাবরই খেলাধুলার সঙ্গেও যুক্ত। মাঝেমাঝেই পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করতেন তিনি। শনিবার দুপুরেও তাকে পাড়ার বন্ধুরা খেলতে ডাকতে আসায় তার মা খেলতে যেতে বাধা দেয়। বন্ধুদের বকাবকি করে ফেরতও পাঠিয়ে দেন। এরপরেই শনিবার রাতে কসবার বাড়ি থেকে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহমের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল সোহমের। এরপরেই সোহম মায়ের উপর রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বিকেলে তার বাবা-মা দুজনেই বিশেষ একটি কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে রাতের দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সোহম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানানো হয়। পুলিশ এসে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল সত্যটি সামনে আসে। জানা যায় মায়ের বকাবকির জেরেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন সোহম।পরিবার সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হওয়ায় বরাবরই সোহমের উপর পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ ছিল। তার মধ্যেই শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ যখন সোহমকে খেলতে ডাকতে আসে তার বন্ধুরা তখনই সোহমের মা তাদের বকাবকি করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। খেলতে যাওয়ার জন্য ছেলেকেও বেশ বকাবকি করেছিলেন তিনি। আর সেই রাগেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন সোহম। তবে সোহম যে আত্মহত্যাই করেছে সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোন রিপোর্ট আসেনি। মৃত ওই ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − eight =