নয়াদিল্লি: গোরু পাচারে অভিযোগে ধৃত ব্যবসায়ী মহম্মদ এনামুল হককে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিলো দিল্লির জেলা আদালত। শুক্রবার সকালে দিল্লির একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে। রবিবার এনামূলকে অন্তবর্তী জামিন দেওয়ার সঙ্গে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে৷ আদালতের তরফে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয় তদন্তে সহযোগিতা করা সত্ত্বেও কেন হঠাৎ দিল্লিতে এসে এনামুলকে গ্রেপ্তারির প্রয়োজন পড়ল? একইসঙ্গে এদিন এনামুলের জামিন মঞ্জুর করলেও সোমবার দুপুরে কলকাতায় তাকে মামলার মূল তদন্তকারী অফিসারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির জেলা আদালত।
পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আদালত জানিয়েছে, ধরা দেওয়ার আট ঘণ্টার মধ্যে ওই অভিযুক্তকে মামলার নির্দিষ্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। তবে এই সময়ের মধ্যে এনামুল দেশ ছাড়তে পারবেন না এবং কোনও অভিযুক্ত বা সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না৷ এদিন এনামুলকে দিল্লির আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিবিআই। কিন্তু এনামুলের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, এর আগে প্রায় একই মামলায় দু’মাস জেল খেটেছেন এনামুল। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দু’বছর আগে কোচির সেই মামলায় তিনি এখন জামিনে রয়েছেন এনামুল৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কামান্ডান্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের হওয়ায় মামলাটিতেও সিবিআইয়ের দেওয়া তিনটি নোটিসে সাড়া দিয়ে প্রত্যেকবার হাজিরা দিয়েছিলেন এনামূল হক। জানা গিয়েছে, এনামুলের ম্যানেজার যাবতীয় নথি জমা দিয়ে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছেন। শুধু তাই নয়, তদন্তকারীর অনুমতি নিয়েই এনামুল তিনবার বিদেশ সফর করে ফিরে এসেছেন। তা সত্ত্বেও সিবিআই যে ভাবে তাঁকে দিল্লিতে এসে গ্রেপ্তার করেছে, সেই এক্তিয়ার নিয়েই এদিন প্রশ্ন তোলেন এনামুলের আইনজীবীরা।