কলকাতা: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। Electricity (Amendment) Bill, 2021 এর বিরোধিতা কেন করছেন মমতা, জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী। তিনি আরও জানতে চেয়েছেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎক্ষেত্রে বেসরকারি আধিপত্য ধরে রাখতে চান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই, এই বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন। মমতার বক্তব্য, এই বিল সাধারণ মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী। সংসদের বাদল অধিবেশনে এই বিল পেশ হওয়ার কথা।
বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, এই বিল আইন হিসাবে পাশ হলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলির ভূমিকা হয়ে উঠবে ঠিক মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার গুলির মত। আপনি ইচ্ছামত নিজের মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার বদলাতে পারেন। নতুন আইনের মাধ্যমে আপনি ইচ্ছামত নিজের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা বদল করতে পারবেন। বলা হচ্ছে, এই আইন বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা গুলির একাধিপত্য হ্রাস করবে। মন্ত্রীর দাবি, একই এলাকায় একাধিক বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা কাজ করতে পারে। মুম্বইতে সেই উদাহরণ রয়েছে। প্রতিক্ষেত্র দেশে বিদ্যুৎ বণ্টনে লাইসেন্স রাজের কথা বলেছেন মন্ত্রী। তার দাবি, ওই আইন লাইসেন্স রাজ খতম করবে।
রাজ্যে বিদ্যুৎ যে খুব সস্তা তা বলা যায়না। বিগত কয়েক বছরে বিদ্যুৎতের বিল আম-জনতার পকেট পুড়িয়েছে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ভয়াবহ আমফান ঝড়ের পর থেকেই। ভয়ানক করোনা আবহে ওই ঝড় কলকাতার বুকে দুর্গতি ডেকে এনেছিল। এটা ঠিক, ২৮৩ বছরে কলকাতা এমন ঝড় দেখেনি। কিন্তু, ২০১১ সালে পরিবর্তনের সরকার দেখেছে। যারা, ছোট বড় সবকিছুই পরিবর্তনের দাবি করে এসেছে। সপ্তাহ খানেক আগে কলকাতা এবং দিল্লির আবহাওয়া দফতর থেকে ১০০ শতাংশ সঠিক তথ্য সম্বলিত খবর (ঝড়ের উৎপত্তি, অবস্থান, পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশস্থান, স্থলভাগে গতিবেগ, বীভৎসতা, ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা এবং সতর্কীকরণ) পাওয়া সত্ত্বেও কেন কলকাতাকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচান গেল না, সে প্রশ্ন উঠবেই।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় আমফান দেখিয়ে দিয়েছে সেই সময় সি ই এস সি – বিদ্যুৎ পরিকাঠামো কতটা ঠুনক ছিল। সি ই এস সি – জানিয়েছিল, লোকডাউনে সংস্থার শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। কাজের লোকের অভাব ছিল। কে এম সি – এর প্রশাসক তথা রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম তখন বলেছেন সি ই এস সি এর জন্যই কলকাতার মানুষ ভুগছে। পুরসভা জল, নিকাশি এবং রাস্তাঘাট দেখে। বিদ্যুৎ দেওয়া পুরসভার কাজ নয়। যথেষ্ট হয়েছে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যের প্রশাসনের সহায়তায় সি ই এস সি – পরিষেবা চালু করতে পেরেছিল।