‘ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’-র পাল্টা স্লোগান ‘সন্ত্রাস ঘরে ঘরে’, বিস্ফোরক শমীক

‘ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’-র পাল্টা স্লোগান ‘সন্ত্রাস ঘরে ঘরে’, বিস্ফোরক শমীক

সল্টলেক: তিনটি কেন্দ্রে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট৷ কিন্তু ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’র স্টাইলে নির্বাচনের হটস্পট হয়ে উঠছে ভবানীপুর৷ ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে শুরু হয়েছে দেওয়া লিখন-‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। তারই পাল্টা হিসেবে এবার বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘সন্ত্রাস ঘরে ঘরে!’’

সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা তো জানতাম সন্ত্রাস ঘরে ঘরে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হারে হারে বুঝতে পেরেছে উন্নয়নের মানে কি। যারা বিগত নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন বা নীরবে ভোট দিয়েছিলেন সেই বুথে আক্রমণ করতে হবে, সেইখানে উন্নয়ন বন্ধ করে দিতে হবে। তবু আমাদের কর্মীরা তাঁদের মতন করে প্রচার করছেন, মানুষের কাছে যাচ্ছেন।”

উত্থাপন করেছেন ‘অসুস্থ মুকুল রায়ের প্রসঙ্গও৷ ঘটনাচক্রে এদিন মুকুলবাবুর সঙ্গে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে দেখা করেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি কাউন্সিলর সস্ত্রীক দেবজ্যোতি রায়৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই শমীকবাবু বলেন, ‘‘আপনারাই বলছেন মুকুল রায় সুস্থ নয়। এমনকি, আপনারাই বলছেন মুকুল রায় নাটক করছে। আর তিনি অ্যাক্টিভ কিনা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা শুধু মাত্র মুকুল রায়ের সুস্থ শরীর এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।”

একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘মুকুল রায় কি বলল, তাতে আমরা কেউ আমল দিচ্ছি না। তাঁর বিধায়ক পদটা কত তাড়াতাড়ি খারিজ করা যায় আমরা সেই বিষয়ে আলোকপাত করছি। এমনকি, রায়সাহেব আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও বলতেন, তৃণমূলের ৮৩ জন বিধায়ক দল ছেড়ে চলে আসছেন বিজেপিতে। আমাদের সংখ্যাটা একটু কম তাই ২৪ বলছেন!”

অভিষেককে ইডি তলবের পাশাপাশি সিআইডির ডাকে শুভেন্দুর সাড়া না দেওয়ার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বিজেপির মুখপাত্র৷ বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের সঙ্গে তো আর ফুটবল ম্যাচের তুলনা হয় না। ইডি তদন্তের খাতিরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ডেকেছেন। আর এখানে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়টা অন্য। কারণ শুভেন্দু যখন মন্ত্রী ছিলেন। আমাদের এখন যে মুখ্যমন্ত্রী তিনি তখনও পুলিশ মন্ত্রী ছিলেন। তিন বছর আগের ঘটনা তখন পুলিশ কিছু করল না। হঠাৎ তাকে সোমবার তলব করল? আর উনি তো আদালতের কাছে গিয়েছেন। প্রয়োজনে তৃণমূলের নেতাদের জন্যেও তো আদালতের দরজা খোলা আছে। সরকারের টাকা খরচ করেছেন। মানুষের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা নিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। প্রয়োজনে তারাও আদালতের কাছে যাবেন।”

দিল্লিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন৷ যাঁর পাল্টা হিসেবে শমীকের দাবি, ‘‘বিজেপি চক্রান্তের রাজনীতি করে না।’’ খোঁচা দিয়েছেন মদন মিত্রকে, ‘‘মদন মিত্র মানেই তো রঙিন। আমাদের দলের প্রতিক্রিয়া একটাই ওহহ লাভলি। প্রযোজককে ওটা খুঁজে দেখতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *