ওমিক্রন আবহে কীভাবে পুরভোট? আলোচনা চাইছে কমিশন

ওমিক্রন আবহে কীভাবে পুরভোট? আলোচনা চাইছে কমিশন

কলকাতা: পুনরায় করোনা গ্রাফের ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তিত রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামী মঙ্গলবার প্রশাসনের পদস্থ কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে ঘোষিত ৪ পুরো নিগমের ভোট গ্রহণ কী ভাবে করা হবে কিংবা আরো বিধি নিষেধ আরোপ করা হবে কিনা, তা নিয়েই আলোচনা হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের। ইতিমধ্যেই কমিশন সংশ্লিষ্ট চার জেলাশাসককে জানিয়ে দিয়েছে যে, করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়নি এমন কাউকে ভোটের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। উল্লেখ্য, কোভিডের কারণেই ২০২০ সালে সব প্রস্তুতি থাকা সত্বেও পুর নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল।

কিছুদিন আগেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সাংবাদিক বৈঠক করে জানান হয়েছে, বাকি ৪ পুরনিগমে ভোট ২২ জানুয়ারি, এবং ফল ঘোষণা হবে ২৫ তারিখ। তবে হাওড়ায় পুরভোট না হলেও ভোট হবে শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর ও আসানসোল পুরনিগমে। নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করেছেন যে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, সব বুথে সিসিটিভি থাকবে ও জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনার নিয়ে আগামী ৪ জানুয়ারী তিনি বৈঠক করবেন। যদিও এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আবার সকলের একটাই প্রশ্ন যে রাজ্যে আবার কোভিড নিয়মবিধি চালু হবে কিনা। সাংবাদিকদের এই নিয়ে বড় ইঙ্গিত ইতিমধ্যে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ফের রাজ্য যেতে পারে করোনা বিধিনিষিধের দিকে। মমতা ওমিক্রন এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, কিছু কিছু কেস আসছে বাইরে থেকে। প্লেনে কেউ আসছে সেখানে হয়ত একজন আক্রান্ত। কিন্তু বাকি ৩০০ জন তার সঙ্গে থাকছে। এইভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে সতর্ক হতে হবে। মনে হয় একটু রেস্ট্রিকশন, একটু বিধিনিষেধের দিকে যেতে হতে পারে। এই কথা বলার পর তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তবে কবে বা আদৌ বিধিনিষেধ চালু বা নিয়মবিধি চালু হবে কিনা, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *