কলকাতা: আর কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই নির্বাচন কমিশনের তিন শীর্ষ আধিকারিককে বদলির নির্দেশ পাঠাল নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি সিইও শৈবাল বর্মন, জয়েন্ট সিইও অনামিকা চট্টোপাধ্যায় এবং ডেপুটি সিইও অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এখনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি হবে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট, ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও দায়িত্বে ছিলেন এই আধিকারিকরা।
নির্বাচন কমিশনের এই তিন শীর্ষ আধিকারিকের বদলির বিষয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। রাজ্যে যখন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেনট এসেছিল তখন এই অফিসারদের প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছিল যে, যারা দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের অফিসে বসে কাজ করছে তাদের বদলি করা হচ্ছে না। পরবর্তী ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন এই তিনজন শীর্ষ আধিকারিকের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব, একাংশের ধারণা, বিজেপি শিবির এর তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও তাদের তরফ থেকে এটিকে রুটিন বদলি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ দেরি। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন, শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, বিজেপির সঙ্গে একই সুরে কথা বলছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। সবমিলিয়ে যখন মুখ্য নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ শহরে এসেছিল তখন তাদের কাছে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। একই সঙ্গে ওই তিনজন আধিকারিকের বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কমিশনের তরফ জানানো হয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গে হিংসা মুক্ত নির্বাচন করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার সবটাই করবে তারা। সেই প্রেক্ষিতেই এই তিনজন আধিকারিকের বদলি কিনা সে ব্যাপারে তর্ক হতেই পারে।