নিজস্ব সংবাদাদাতা, বীরভূম: লড়াই যেন এবার সমানে সমানে৷ কাকে টেক্কা দিয়ে কে দখল করবে বাংলার মসনদ৷ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি৷ তারই মধ্যে হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনের বৈতরণী পেরতে এবার মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ যজ্ঞ কোনও ছোটখাটো যজ্ঞ নয়৷ একেবারে এলাহি আয়োজন৷ বীরভূমের কঙ্কালিতলায় বুধবার মহাবিজয় যজ্ঞের আয়োজন করা হয়৷ তাতে যা আয়োজন হয়েছে তা শুনলে চোখ উঠবে কপালে৷ জানা গিয়েছে, ১ কুইন্টাল ৫১ কেজি বেল কাঠ, ৫১ কেজি ঘি, ১০০১টি বেলপাতা পোড়ানো হয় এই যজ্ঞে৷
একইসঙ্গে ১১ জন পুরোহিত মিলে সম্পন্ন করেন এই যজ্ঞ৷ যজ্ঞ শেষে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা করা হয়৷ একুশের ভোট বৈতরণী পার করাতে এত আয়োজন? যদিও তা স্পষ্ট করেননি অনুব্রত৷ তাঁর কথায়, ‘‘আগেকার দিনে রাজা মহারাজারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে মহাযজ্ঞ করতেন। ভেবে নিন, এটাও সেই একই রকম যজ্ঞ!’
বিভিন্ন জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় বিজেপির মধ্যাহ্নভোজনের রাজনীতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বারবার৷ তাঁর কটাক্ষে উঠে এসেছে, হিমালয়ান ওয়াটার, বাসমতি চাল, পোস্তর বড়ার মত দাবি খাবারের কথা৷ অভিযোগ, যা হোটেল থেকে বানিয়ে এনে সোজা দলিত- কৃষকের ঘর থেকে খাওয়ানো হচ্ছে বিজেপি নেতার মন্ত্রীদের৷ মমতার কথায়, সবটাই লোক দেখানো৷ সেখানে তাঁর দলেরই নেতা এত এলাহি আয়োজন করে যজ্ঞ করছেন, সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত৷ উঠছে প্রশ্ন?
এবারের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে সব থেকে চ্যালেঞ্জের। বীরভূম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও এবার তা দখল করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তাদের দলের নেতা-কর্মী ও মুখ্যমন্ত্রীর শক্তি ও মনোবল বাড়াতেই এই পুজোর আয়োজন করেছেন মমতার একনিষ্ট সৈনিক কেষ্ট। প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে৷