কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক হিংসা এবং অশান্তি হয়েছে বলেই দাবি উঠছে সর্বত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিশানা করা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকে। সোমবার বেশ কিছু বুথে পুনরায় নির্বাচন হোক, কিংবা আজ গণনা, অশান্তির খবর কিছুতেই কমেনি। এই ভোট আবহে আরও একটি জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বটে, তা হল রাজ্যের বিদ্যালয়গুলি। সেই ইস্যুতে এবার আলোকপাত করল ‘সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটি।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে তারা বিশেষ আর্জি জানিয়েছে।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জায়গার বিদ্যালয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলিই ছিল ভোটকেন্দ্র। তাতে বোমা পড়া থেকে শুরু করে, গুলি চলা, ভাঙচুর, সব ধরনের ঘটনাই ঘটেছে। তাই সংগঠন এই ব্যাপারে রাজ্যকে পদক্ষেপ দিতে অনুরোধ করেছে। ‘সেভ এডুকেশন কমিটি’র দাবি, রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলিতে অতি দ্রুত ক্ষতি পূরণ করে পঠন-পাঠনের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছে তারা। সংগঠনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র জানিয়েছেন, রাজ্যের বিদ্যালয়েগুলিতে নানা কারণে পঠন-পাঠন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভোটের আবহেও তাতে নান ক্ষতি হয়েছে। তাই দ্রুত এই নিয়ে ব্যবস্থা করা হোক।
তাঁর মূল বক্তব্য, রাজ্যে বর্তমান শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৫২ দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এরপরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক্ষকরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করায় পঠন-পাঠনে আরও ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে হিংসাত্মক ঘটনায় বেশ কিছু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অথচ আর কয়েক দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন শুরু হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলির ক্ষতি পূরণ করে অতি দ্রুত পঠন-পাঠন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার আগামী তিন দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন, এই আর্জি।