ed
কলকাতা: ‘লিপস এণ্ড বাউণ্ডস’ কোম্পানির সম্পত্তির বিষয়ে ইডির দেওয়া তথ্যে চরম ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তা অসম্পূর্ণ বলে দাবি। এমনকি কোম্পানির সম্পত্তি মুল্য সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি আদালতে। এই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিচারপতি।
ইডির দেওয়া তথ্য জানার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার বলেন, যিনি একজন সাংসদ এবং কোম্পানির সিইও তাঁর মাত্র তিনটি লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, আর কিছু উল্লেখ করা হয়নি! কোম্পানির মুল কাজ কী ছিল তাও স্পষ্ট নয়। সেখানে কি সব কিছু হত, প্রশ্ন তাঁর। এছাড়া হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ইডির এখনও কোম্পানির ডিরেক্টরদের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত করা বাকি। এই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ২০১৬ সালে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর অবসর নেওয়ার পর কারা কোম্পানির প্রতিদিনের কাজ কর্ম দেখাশুনা করত তাদের নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিলিটেস সহ তথ্য ইডিকে জানাতে হবে। ওই কোম্পানির কর্মচারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে আদালতে। কোম্পানি সমস্ত রকম আইনি দিক মেনে চলতো কিনা তা দেখতে হবে।
এদিন বিচারপতি কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন। তিনি জানতে চান, লিপস এণ্ড বাউণ্ডসের ফ্ল্যাটের বিস্তারিত তথ্য নেই কেন? শুধু জমির বর্ণনা রয়েছে কেন? এছাড়া কোম্পানির সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কেও তিনি প্রশ্ন করেন। তবে ইডির বক্তব্য, তারা তদন্ত করছে এই ব্যাপারে। ধীরে ধীরে সমস্ত তথ্য দিতে পারবে বলে আশা তাদের। অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ইডির এক আধিকারিক নিখিলেশ কুমার মিশ্রা (এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এখনও আদালতে বলা হচ্ছে এই সম্পত্তি কার তারা সেটা এখনো জানেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তের প্রায় ৮ মাস হয়ে গেলে, এখনও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দিকে তাকিয়ে তদন্ত দ্রুত হওয়া জরুরি বলে মত।