Aajbikel

অনুব্রতর বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিট! এখানেই কি তদন্ত শেষ? সীমান্ত জেলায় কেন নেই সিবিআই-ইডির নজর?

 | 
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়! একথা হারে হারে টের পাচ্ছেন অনুব্রত!
কলকাতা: গরু পাচার মামলায় চার্জশিট সদ্য জমা দিয়েছে ইডি। সেখানে কোটি কোটি টাকা কীভাবে আত্মসাৎ করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সেই হিসেব দেখানো হয়েছে। যে চার্জশিট ইডি জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা এবং নামে বেনামে সম্পত্তি মিলিয়ে শুধু অনুব্রতরই ৪৮ কোটি টাকারও বেশি সম্পদের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই কেষ্টর মোট সম্পত্তি ৭৭ কোটির টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি৷ পুরোটাই গরু পাচারের টাকা। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি এনামুল হকের মাধ্যমে গরু পাচার চক্র চালাতেন বলেই চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।  

যা দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ হয়ে যখন বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে গরু পাচার করা হতো সেখানে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফের এক শ্রেণির আধিকারিক ও সাধারণ কর্মীরা এই কারবারে যুক্ত থাকতেন। অর্থাৎ গরু পাচারের পিছনে বিরাট বড় একটা চক্র কাজ করছিল। যার মধ্যমণি ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু প্রশ্ন, অনুব্রত ছাড়া আর কোনও বড় মাথা কী এই কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন না? অনুব্রত যদি শেষপর্যন্ত সত্যিই দোষী প্রমাণিত হন তাহলেই কী কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে? অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এ ব্যাপারে বহু নাম তদন্তকারীদের বলেছেন বলেই সূত্রের খবর। তাই  গরু পাচার কাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আরও 'বিগ-শট'দের নাম সায়গল বলে থাকবেন এটা ধরে নেওয়াই যায়। সেই সূত্রে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তবে কি গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত মোটের উপর এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে? নাকি তদন্ত চলবে নিজের গতিতেই? অনুব্রত-সুকন্যাকে নিয়ে চার্জশিট পেশ করার পর এই চর্চা স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল অনুব্রত এত বড় বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন, সেখানে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কি তার সামান্যতম আঁচ পায়নি? নাকি প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ যুক্ত ছিলেন এই কারবারের সঙ্গে? তৃণমূল বারবার দাবি করেছে গরু পাচারের জন্য শুধুমাত্র দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএফ। ইডির চার্জশিটেও বিএসএফের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশের কথাও। তাই তৃণমূল শুধুমাত্র যেভাবে বিএসএফের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে সেটা কী আদৌ বাস্তবসম্মত? তাতে কি রাজ্য পুলিশের একাংশের ভূমিকাকে ক্লিনচিট দেওয়া যায়? তাই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন একা শুধু অনুব্রত নন, রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে গরু পাচারের যোগ থাকতেই পারে। যদি সেই ধারণা সত্যি হয় তাহলে প্রশ্ন, সেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নাম কী সামনে আসবে না? তাঁদের নিয়ে তদন্ত কি আদৌ চলছে? আগামী দিনে কি সেই সমস্ত নাম সামনে আসবে? এই জল্পনা কিন্তু চলছে রাজ্য জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে গরু পাচার কাণ্ডে কোনও নয়া মোড় দেখা যায় কিনা এখন তারই অপেক্ষা।

Around The Web

Trending News

You May like