ed
কলকাতা: দুর্নীতির সরাসরি সুবিধাভোগী তিনি। শুধু তাই নয়, স্কুল ও ক্লাবের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক সম্পর্কে এমনই দাবি করেছে ইডি। আজ স্কুলের সঙ্গে মানিক এবং তাঁর ছেলের যোগসূত্রের নথি আদালতে জমা দিল তারা। ইডির দাবি, স্কুলের অ্যাকাউন্ট এদের দুজনেরই নিয়ন্ত্রণে থাকত।
এই সংক্রান্ত মামলার আগের এক শুনানিতে আদালতে ইডির দাবি ছিল, কোভিড চলাকালীন অনলাইন ক্লাসের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা লুঠ করার ছক কষেছিলেন শৌভিক৷ এমনকি তাঁর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি টাকা পাচার করা হয়েছে। যদিও আজ তাঁর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ১০০ বছরের পুরনো স্কুলে শুধু ৭.৯৩ কোটি টাকার লেনদেন আছে। তার বাইরে এক টাকাও নয়। তিনি এও দাবি করেন, স্কুলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিল শৌভিক। তার বাইরে আর কোনও অ্যাকাউন্ট নেই তাঁর। কিন্তু ইডি পাল্টা দাবি করে বলেছে, বাবার রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করা হয়েছে। দরকারের জন্য স্কুলের নামও বদলে দেওয়া হয়।
আজও মানিক পুত্র জামিনের আবেদন করেছিলেন আদালতে। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, জামিন মামলার রায় আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার দেওয়া হবে। তার আগে বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, একজন কতদিন অযথা জেলে থাকবেন? উত্তরে ইডির দাবি, অযথা নয়। এই দুর্নীতিটা কী হয়েছে তা দেখতে হবে। তারা জানিয়েছে, যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটা বাদে আর কী কী পথে টাকা লেনদেন হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।