কলকাতা: কসবার জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে এবার তদন্ত শুরু করল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই মোট ৬ টি ইসিআইআর বা এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট দায়ের করেছে তারা। ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় একটি ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া রেমডিসিভির, অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারি নিয়ে ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর কালোবাজারি নিয়ে বাকি ৫ টি ইসিআইআর দায়ের করেছে ইডি। সম্প্রতি দিল্লি থেকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে তারা। সেই প্রেক্ষিতেই জাল ভ্যাকসিন মামলায় তদন্ত শুরু করা হল। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি।
এদিকে আবার আজ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানাল হয়েছে যে, ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ ভ্যাকসিন জালিয়াতি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারি সংস্থা বা SIT তদন্তেই আস্থা রাখলেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচাপতি অনিরুদ্ধ রায়। এই মুহূর্তে কসবা ভ্যাকসিন জালিয়াতি কাণ্ডের মূলচক্রী দেবাঞ্জন দেব জেল হেফাজতে আছেন বলে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি এও জানান, বিশেষ তদন্তকারী দল, পুলিশ এবং অ্যান্টি চিটিং টিম তদন্ত চালাচ্ছে এই ঘটনায়। এই মামলার শুনানিতে এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এখন যেভাব তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তেমনই চলবে, রাজ্যের তদন্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। এককথায়, রাজ্য যে ভাবে তদন্ত করছে সেই প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে জিকা, জারি সতর্কতা
কসবার নকল টিকাকরণ কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিন মামলায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে এবং দেশে। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার কারণ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীদের ছবি দেখা যায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের সঙ্গে। যদিও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের সেই নেতারা এই ঘটনাকে আমল দিতে চাননি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন যে এইভাবে যে কেউ যার সঙ্গে ইচ্ছা ছবি তুলতে পারে তাতে কিছু প্রমাণ হয় না। মুখ্যমন্ত্রী আবার জাল ভ্যাকসিন ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিহিত করেন এবং বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন।