কলকাতা: নারদ মামলায় চার্জশিট বিতর্কে বিধানসভার স্পিকারকে দ্বিতীয়বার চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ বুধবার বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষের দফতরে চিঠি জমা দেন ইডি-র এক অফিসার৷ ওই চিঠিতে ইডি-র তরফে পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়েছে, ইডি-র কোনও অফিসার আজ বিধানসভার স্পিকারের সামনে হাজিরা দেবেন না৷
আরও পড়ুন-‘বিয়ে হবে কিনা ভবিষ্যৎ বলবে, মৃত্যু ছাড়া আমার আর শোভনের বিচ্ছেদ সম্ভব নয়’
প্রসঙ্গত, গতকাল ইডি-র তরফে প্রথম চিঠি পাঠানো হয়৷ ওই চিঠিতে তাঁরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, আর্থিক তছরুপ মামলায় নিয়ম মেনেই নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না৷ এই চিঠি পাওয়ার পরেই পাল্টা চিঠি পাঠান স্পিকার৷ তিনি বলেন, ইডি-র যুক্তিতে তিনি সন্তুষ্ট নন৷ তিনি আশা করেন বুধবার ইডি-র অফিসাররা বিধানসভায় হাজিরা দেবেন৷ এর পর আজ দ্বিতীয় চিঠি পাঠায় ইডি৷ সেখানে বলা হয়েছে, বিধানসভার স্পিকার এটা জানননি কেন তিনি সন্তুষ্ট নন৷ তাই আজ ইডি-র অফিসাররা সেখানে যাচ্ছেন না৷ পাশাপাশি চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন৷
প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম সহ বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি ও সিবিআই। ইডির বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করেছে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, সমন পৌঁছানোর দায়িত্ব বিধানসভার নয় এবং অভিযুক্তদের কাছে সেই সমন পাঠাতে অস্বীকার করেন তিনি। এখানেই থেমে না থেকে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিট জমা প্রক্রিয়া নিয়েও আপত্তি তোলেন। বিধানসভা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে! সেই প্রেক্ষিতেই এই দুই তদন্তকারী সংস্থা, ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই কর্তাকে তলব করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।