Aajbikel

১০-১২ বার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা, দাবি ইডির, মানতে নারাজ লটারি এজেন্সির মালিক

 | 
সুকন্যা

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ কালো টাকা সাদা করতে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতার কথা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে৷ দু’একবার নয়, বেশ কয়েকবার লটারিতে লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল তাঁর৷ লটারি তদন্তে বোলপুরে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরাও। সেই সময় লটারি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বেশ কয়েক জনকে ডেকে  জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। গরু পাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) সম্প্রতি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে অনুব্রতের লটারি জেতা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। যা নিয়ে নতুন করে  চর্চা শুরু হয়েছে৷ 

ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, বোলপুরে ‘গাঙ্গুলী লটারি এজেন্সি’ আগে থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জানিয়ে দিত কারা লটারি জিতেছেন এবং কত টাকার লটারি জিতেছেন। সেই মতো অনুব্রত নিজের প্রভাব খাটিয়ে লটারি বিজয়ীদের কাছ থেকে পুরস্কারের টিকিট কিনে নিতেন৷ চার্জশিটে আরও বলা রয়েছে, এই বিষয়টি মধ্যস্থতার কাজ করতেন বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন। সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা দিয়ে একই অভিযোগ তুলেছিলেন লটারিতে এক কোটি টাকা জেতা বড় শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ নূর আলির বাবা কটাই শেখ। ইডি জানিয়েছে, কেষ্ট যে এক কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন, সেই টিকিট আসলে নূর কেটেছিলেন৷ 

ইডির চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, অনুব্রত জানিয়েছেন যে, তিনি বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে চেনেন এবং তিনি ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা তার দোকান থেকে ১০ থেকে ১২ বার লটারি জিতেছেন। যদিও বাপি গঙ্গোপাধ্যায় এই দাবি খারিজ করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্বজ্যোতির কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷  তবে ইডির চার্জশিট প্রসঙ্গে বাপি বলেন, “গাঙ্গুলী লটারি শুধুই একটি লটারি এজেন্সি। সেখান থেকে টিকিট বিক্রি হয়। কে পুরস্কার জিতল, কত টাকার পুরস্কার জিতল তা আমি জানি না৷  আমার দেখার বিষয়ও নয়। আমি আগেই পুরো বিষয়টি সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছি।’’

Around The Web

Trending News

You May like