নয়াদিল্লি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতন৷ সেই শান্তির নিকেতন আজ আক্রান্ত৷ পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিধায়ক-সহ ২ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল, বুলডোজার দিয়ে লজ্জার তাণ্ডব চালছে ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে৷ গোটা ঘটনায় যেমন উঠেছে নিন্দার ঝড়, তেমনই ধুঁয়ো উঠেছে রাজনীতির ময়দানে৷ বিশ্বভারতীতে লজ্জার তাণ্ডবের পিছনে কি কোনও বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারি লুকিয়ে আছে? তা জানতে এবার তথ্য সংগ্রহের নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি৷
কী হয়েছিল শান্তিনিকেতনে? জানতে চেয়েছে ইডি৷ গোটা ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে, কীভাবে ঘটনা ঘটল, তা জানতে চেয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর৷ এফআইআরে একাধিক প্রভাবশালী নাম রয়েছে৷ অশান্তির নেপথ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, শান্তিনিকেতনের তাণ্ডবের তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমেছে ইডি৷ কী হয়েছিল শান্তিনিকেতনে, উপাচার্যের থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে তথ্য৷ কোন কোন ধারায়, কাদের কাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে, কীভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে? তাও জানতে চেয়ে পুলিশকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর৷
ইডি সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷ অশান্তির সূত্রপাত কীভাবে তাও জানতে চেয়েছেন আধিকারিকরা৷ সমস্ত নথি আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর৷ ওই ঘটনার পেছনে কোনও টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, তা দেখার কাজ শুরু হয়েছে৷ টাকার বিনিময়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল কি না, কোনও টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, ট্রাক্টরে আসা বহিরাগতদের আনতে অর্থ দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই সমস্ত তথ্য জানতে শুরু করেছে ইডি৷ অভিযোগ উঠেছে, বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর করে বহিরাগত বেশকিছু উন্মত্ত জনতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল৷ লুট হয়েছে বহু টাকার সম্পত্তি৷ কারা ওই ব্যক্তিদের আনল? কাদের আনা হয়েছিল, সমস্ত তথ্য জানতে চাইছে ইডি৷