১০০০ কোটি ছাড়াতে পারে দুর্নীতির অঙ্ক! রেশনকাণ্ড নিয়ে দাবি ইডির

১০০০ কোটি ছাড়াতে পারে দুর্নীতির অঙ্ক! রেশনকাণ্ড নিয়ে দাবি ইডির

ed

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির পর এখন রাজ্যের রেশন দুর্নীতিতে ঠিক কত টাকার প্রতারণা হয়েছে তা নিয়ে চর্চা। বেশ কিছুদিন আগে এই ইস্যুতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁর গ্রেফতারির পরই ইডি গ্রেফতার করে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এখন আপাতত দুজনেই জেল হেফাজতে। আর তদন্তের গতি-প্রকৃতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান, এই দুর্নীতির অঙ্ক হাজার কোটি পার করতে পারে। হালে একাধিক তথ্য এবং নথি খুঁটিয়ে দেখে এমনটাই নাকি মনে হয়েছে ইডির। 

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করার পরপরই ইডি দাবি করেছিল, ২০১১ সালের পর থেকেই রেশন দুর্নীতির ছক কষা হয়েছিল। তাদের এখন আরও বড় দাবি, রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার ৪০০টি রেশনের দোকান থেকে গত ১০ বছর ধরে মাসে মাসে টাকা তোলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৩০০ ভুয়ো রেশন দোকান খুলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়া থেকেই অন্তত ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শুরু ভুয়ো রেশন দোকান নয়, অনুমোদিত রেশনের দোকানগুলি থেকেও সিন্ডিকেট মারফত বিপুল টাকা তোলা হয়েছে বিগত বছরগুলিতে বলে জানিয়েছে ইডি। সব মিলিয়ে দুর্নীতির অঙ্ক হাজার কোটি ছাড়াবে। 

সম্প্রতি আবার ইডি-র হাতে এসেছে একটি খাতা৷ সেই খাতায় রয়েছে রেশন চুরির হিসাব-নিকেষ৷ কে কতটা চুরি আটা বিক্রি করল, কত লভ্যাংশ পকেটে পুড়ল, সেই সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লিখিত রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ওই খাতায় লেখা রয়েছে একাধিক ডিস্ট্রিবিউটার ও ডিলারের নাম৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − twelve =