‘মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা! ‘আপত্তি নেই’ জানিয়েছিলেন পার্থ, বিস্ফোরক দাবি ED-র চার্জশিটে

‘মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা! ‘আপত্তি নেই’ জানিয়েছিলেন পার্থ, বিস্ফোরক দাবি ED-র চার্জশিটে

কলকাতা: একসঙ্গে একের পর এক যৌথ সম্পত্তির হদিশ। অগাধ টাকা-কড়ি থেকে একাধিক কোম্পানি, বাড়ি। মোটা অঙ্কের জীবন বিমা৷ বার্ষিক প্রিমিয়ামের পরিমাণ দেড় কোটি টাকারও বেশি৷ এই বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনেক দিন আগেই মিলেছে৷ এবার ‘অপা’ সম্পর্কে চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট  (ইডি)। ১৭২ পাতার চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে,  ‘মা হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাতে আপত্তি ছিল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও।’  এর জন্য প্রয়োজনীয় অনাপত্তির শংসাপত্র অর্থাৎ নো-অবজেকশন সার্টিফিকেটে সই-ও করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। অর্পিতা সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন বলেই দাবি ইডির। 

আরও পড়ুন- রাজ্যের কোভিড গ্রাফের হাল কী? শেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ প্রায় ৩০০

জানা গিয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় গত সোমবার আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে প্রকাশ্যে না আসা একাধিক তথ্যেরই উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম অর্পিতার সন্তান দত্তক নিতে চাওয়ার বিষয়টি। 

ইডি তাদের দীর্ঘ চার্জশিটে সাফ জানিয়েছে, ‘অর্পিতা পার্থর কাছে সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন৷ আপত্তি নেই বলে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেটও দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ওই চিঠিতে থাকা সইয়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। কেন এমন চিঠি দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?  এই প্রশ্নের জবাবে ইডি-র কাছে পার্থ জানান,  ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেককেই এধরনের সার্টিফিকেট দিতে হয়’৷ 

প্রসঙ্গত,  গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়েছিলেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে৷ সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, বহুমূল্য গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সময় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। ২২ ও ২৩ জুলাইয়ের মধ্য রাতে যে সকল নথি উদ্ধার হয়েছিল, তার মধ্যেই ছিল সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া নো-অবজেকশন চিঠি৷ ইডি-র দাবি, ওই চিঠিতে পার্থ নিজেকে অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন৷ 

এছাড়াও ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জীবন বিমার প্রিমিয়াম বাবদ বছরে দিতে হত দেড় কোটি টাকা৷ এই প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় অর্পিতা কোন কোন কথা কবুল করেছেন, তার উল্লেখও রয়েছে চার্জশিটে। যেখানে এও উল্লেখ, করা হয়েছে  বছর ৩৬-এর অভিনেত্রী অর্পিতার ৩১টি জীবন বিমা পলিসির নমিনি ছিলেন সত্তোরর্ধ্ব পার্থ৷