ইংরেজিতে লেখা চার্জশিটে কেষ্টর বয়ান বাংলায়! কী ভাবে এগোবে বিচারের প্রক্রিয়া? উঠছে প্রশ্ন

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে অনুব্রতকে দিল্লি নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি৷ সেই সময়ই তাঁরা জানতে পারেন যে, অনুব্রত বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বোঝেন না। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলা জানা বিশেষ অফিসারকে বয়ান নথিবদ্ধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন অনুব্রতের আইনজীবীরা৷ তাঁদের কথায়, বাংলায় বয়ান নথিবদ্ধ করা হতেই পারে। কিন্তু তা আদালতে গ্রাহ্য হল কী করে? কারণ নিয়ম অনুযায়ী বিচারক আগে সব নথি পড়ে, বুঝবেন, তার পরই তা গ্রহণ করার কথা। এ নিয়ে ভবিষ্যতে আদালতে প্রশ্ন তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে কেষ্টর আইনজীবীদের।
এর পর মে মাসের ৪ তারিখে গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ইডি। তাতে বলা হয়েছিল, গরু পাচার থেকে প্রাপ্ত নগদ প্রায় ১২ কোটি টাকা অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা ও তাঁদের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। ইডি চার্জশিটে জানায়, অনুব্রত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের উৎস হিসাবে মূলত জমির দালালি ও চালের ব্যবসা দেখিয়েছে। কিন্তু, তার বক্তব্যের ভিত্তিতে কোনও নথি দেখাতে পারেননি। উল্লেখ্য, অনুব্রতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের হলেও এখনও চার্জ গঠন হয়নি।