কলকাতা: ভোটের ডিউটিতে না যাওয়ার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নির্বাচন আধিকারিকের পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতাপপুর হাই স্কুলের বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক অরূপ বেরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত বিশেষভাবে সক্ষম সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফে জানান হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দরফতরের জোরালো ভাবে বার্তা দিয়েছিলেন তারা। যদি তা প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আন্দোলন এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তারপর আজ ওই শিক্ষক জেলাশাসকের দফতরে গেলে তাঁকে হাতে হাতে এই শাস্তি প্রত্যাহারের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতাপপুর হাই স্কুলের অরূপ বেরার সাহসী মনোভাব এবং সংগঠনের উদ্যোগের ফলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের অমানবিক পদক্ষেপ থেকে কমিশন বিরত থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার নির্বাচনী আধিকারিক গোলসি ২-এর ভেঁপুর মেরুয়াল শ্যামসুন্দরপুর পাবলিক ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক মিলন বিশ্বাসকে অন্যায় ভাবে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ এমনটাই। মিলন বিশ্বাস নির্বাচনী দফতরের চিঠি অনুযায়ী সবকটি ট্রেনিং নিয়েছেন। ১১ এপ্রিল ফাইনাল ট্রেনিং নেওয়ার পর আজ হঠাৎ তাঁকে শোকজ চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে বারবার এই অসঙ্গতির উদাহরণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তা সত্বেও ভুরি ভুরি এমন অসংখ্য অসংগতি উঠে আসছে প্রায় প্রতিদিন। অবিলম্বে কমিশনকে ওইসব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি দিয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে।’’