কেন অশান্তি, বন্দুক বেরল কেন? ভবানীপুর নিয়ে রিপোর্ট চাইল কমিশন

কেন অশান্তি, বন্দুক বেরল কেন? ভবানীপুর নিয়ে রিপোর্ট চাইল কমিশন

কলকাতা: ভবানীপুরের উপনির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে উত্তপ্ত হয় এলাকা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সেখানে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে তৃণমূল বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আবার দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক তুলে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। সব মিলিয়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা ভবানীপুরে। এবার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল তারা। 

আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত

এদিন দিলীপ ঘোষ এলাকায় ঘুরে ঘুরে লিফ্লেট বিলি করছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রচার অটো সেখান দিয়ে যাচ্ছিল৷ সেই অটো থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল৷ চলছিল বিজেপি বিরোধী স্লোগানও৷ সেখানে আবার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছিল করোনার টিকাকরণ৷ দিলীপ ঘোষ ওই টিকা কেন্দ্রে ঢোকেন৷ এর পরেই তৃণমূল কর্মীকে সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনেন৷ তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ৷ রীতিমতো দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়৷ এরপরেই দেখা যায়  দিলীপের দেহরক্ষীকে ‘সার্ভিস পিস্তল’ উঁচিয়ে ধরতে! ঠিক কী কারণে সেখানে অশান্তি হল এবং কোন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দুক বের করতে হল, তাই জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে তারা। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

ভবানীপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবার রাজ্যে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি ভবানীপুরের। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। দিলীপ ঘোষ এত বড় একটা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, তারকা প্রচারক। তাঁকে এইভাবে লাথি মারা হচ্ছে, ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বয়সটাও তো ভেবে দেখা দরকার। বাংলার সংস্কৃতি অনুযায়ী বয়সে বড় কাউকে পায়ে দিয়ে প্রণাম করা হয়, গায়ে হাত দেওয়া হয় না। সুকান্ত আরও বলেন, উচিত হবে ৩০ তারিখ সকাল সকাল বেরিয়ে ভোট দেওয়া, সঠিক জায়গায় ভোট দেওয়া এবং এই দাম্ভিক মহিলাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে পশ্চিমবঙ্গ তাঁদের পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =