কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ আগামী ২ মে ঘোষণা হবে একুশের নির্বাচনের ফলাফল৷ ওই দিন বা তার পরের দিন কোনও মিছিল করা যাবে না৷
আরও পড়ুন- ‘একদম যাবি না’! মমতার নির্দেশেই কি CBI দফতরে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত?
জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এবার ফল ঘোষণার দিন বা তার পরের দিন কোনও ভাবে বিজয় মিছিল করা যাবে না৷ করোনা সংক্রমণের জেরেই বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত কমিশনের৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে পঞ্চম দফার পর থেকে একাধিক নির্দেশিকা জারি করতে শুরু করেছিল কমিশন৷ আগামী ২ তারিখ ভোট গণনা হবে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট পাঁচ রাজ্যে৷ সেই গণনার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে শুধু বাংলা নয়, বাকি চার রাজ্য তামিলনাড়ু , কেরল, অসম ও পন্ডিচেরিরতেও ভোট ফল ২ মে ঘোষণা করা হবে, সেই রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ অর্থাৎ কোনও রাজ্যেই বার করা যাবে না বিজয় মিছিল৷ এই বিষয়ে আজই বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে৷ মূলত জনসমাগম এড়ানোই কমিশনের লক্ষ্য৷ বলা হয়েছে, ভোট গণনার পর রিটার্নিং অফিসারের কাছে জয়ী প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে দুজন এসে শংসাপত্র নিতে পারবেন৷ তার বেশি লোক আনা যাবে না৷
উল্লেখ্য, গতকাল কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট করানো নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সমালোচনার পরেই পর নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। কোভিড বিধি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিল কমিশন৷ প্রসঙ্গত, গতকাল আদালত বলে, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী একমাত্র নির্বাচন কমিশন। কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত’।
এ প্রসঙ্গ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, এটা খুবই ভালো খবর৷ নির্বাচন কমিশন অন্তত কিছু কাজ করেছে৷ ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সমস্ত বিজয় মিছিল বন্ধ করেছিলেন৷ নির্বাচন কমিশন এতদিন কিছুই করছিল না৷ এবার নড়েচড়ে বসেছে, সেটা ভালোই৷
আরও পড়ুন- বড় ঘটনা না হলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তিই সাক্ষী সপ্তম দফার
আবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্ত সিদ্ধান্তকেই আমরা স্বাগত জানিয়েছি৷ নির্বাচন চালাকালীন কমিশনের বিধি নিষেধ মেনে আমরা চলেছি৷ এখন অতি উচ্ছ্বাসে কিছুটা বিচ্যুতি তো হয়ই৷ উচ্ছ্বাসের জেরে সাধারণ মানুষ, সমর্থকরা চলে আসেন৷ তার জন্য সমালোচনা হচ্ছে৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন মন্তব্যকে বিদ্রুপ করা হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে পর্যন্ত বিদ্রুপ করা হচ্ছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷ কিন্তু আমাদের রাজ্যে প্রতিটি মানুষের ডিএনএতে রাজনীতি আছে৷ মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে৷ করোনা বিধি মানবে৷